সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষবরণের বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাসে বাঁধা নেই। একটি বছরের শেষ, আরও একটি বছরের শুরুর বিশেষ মুহূর্তে আনন্দের মাত্রা কিঞ্চিৎ বেশি হতেই পারে। অন্তত কংগ্রেসশাসিত কর্নাটকে। কারণ সেখানকার পুলিশমন্ত্রী জি পরমেশ্বর অভিনব ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এদিন মদ খেয়ে বেসামাল হলে পুলিশই দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেবে। এমনকী যাঁরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতে চান না, তাঁদের জন্যও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।
বর্ষবরণের হুল্লোড়ে এক সময় ক্লান্ত হলে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিশ্রাম নিতে চাইলেও অসুবিধা নেই। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এর জন্য গোটা রাজ্যে মোট ১৫টি জায়গা ঠিক করেছে সরকার। বিশেষ করে যে শহরগুলিতে উদ্যাপনের মাত্রা একটু বেশি হয় সেখানে এই ব্যবস্থা থাকছে। তার মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু, মাইসুরু, হুব্বালি, বেলাগাভি এবং মেঙ্গালুরু। মানবিক মন্ত্রী বলেন, "আমরা সকলকে বাড়ি পৌঁছে দিতে পারব না। যাঁরা বেশি মদ্যপান করবেন, কথা বলার মতো অবস্থায় থাকবেন না, নেশার চোটে সংজ্ঞাহীন হওয়ার মতো অবস্থায় থাকবেন, তাঁদের সাহায্য করা হবে। কোনও বিপদ-আপদ যাতে না হয়, নির্বিঘ্নে যাতে বাড়ি পৌঁছে যান, সেই দায়িত্ব নেবেন পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা।"
বর্ষবরণের রাতে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়েও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কর্নাটক সরকারের তরফে। এর জন্য বেঙ্গালুরু-সহ অধিকাংশ শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার জানিয়েছেন, শুধু বেঙ্গালুরুতেই অতিরিক্ত ২০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। নজর রাখা হচ্ছে পানশালা এবং রেস্তরাঁগুলিতে। নেশাগ্রস্তদের প্রতি মানবিক হলেও মন্ত্রীমশাই জানিয়ে দিয়েছেন, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ধরা পড়লেই কঠিন ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
