সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপ্লবের সলিল সমাধি বুড়ি গঙ্গায়! শেষ পাওয়া অনুযায়ী, রাখ-ঢাক উড়িয়ে জামাত ইসলামির সঙ্গে মিশে যেতে চলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজনৈতক দল এনসিপি। বাংলাদশে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই আসন ভাগাভাগি নিয়ে নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহদের সঙ্গে দড়ি টানাটানি চলছিল জামাতের। যদিও টাটকা খবর হল, শেষ মুহূর্তে মৌলবাদী জামাতের সঙ্গে মিশে যেতে চলেছে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবী ছাত্রদের দল! প্রশ্ন উঠছে, তারেক রহমান দেশে ফেরায় বিএনপি শক্তি বেড়েছে মনে করেই কি এনসিপির খোলস ছেড়ে জামাতে মিশে যেতে চলেছে তথাকথিত বিপ্লবীরা?
গত বেশ কয়েক মাস ধরেই নাহিদ বলে আসছিলেন যে, এনসিপি এককভাবে নির্বাচন লড়বে। সেই লক্ষ্যে প্রথমপর্বে ১২৫টি আসনে প্রার্থীও দেয় তারা। পরে 'গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট' গঠন করার ঘোষণা করে তারা। সেই লক্ষ্যে জামাতের সঙ্গে জোটা বাঁধার কথা জানায়। চলছিল আসন নিয়ে দর কষাকষি। রিপোর্ট অনুযায়ী, জামাতের কাছে ৫০টি আসন চেয়েছে এনসিপি। যদিও ৩০টির বেশি আসন এনসিপিকে ছাড়তে রাজি নয় তারা। এদিকে এনসিপি আগেভাগে যে ১২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তাঁদের অনেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে। তাহলে উপায়?
এই পরিস্থিতিতে এনসিপির জামাত বিরোধী অংশ দল ছাড়তে পারে বলেই খবর। ইতিমধ্যে তারেক রহমান দেশ ফিরতেই তাঁকে সমর্থন জানিয়ে জামাতবিরোধী হিসেবে পরিচিত মির আরশাদুল হক এনসিপি ছেড়েছেন। ফলে নাহিদ-হাসনাতরা মনে করছেন, এমনিতেই তাদের জামাতের বি-টিম বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসিনা, ভারত, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধ করে এনসিপি ইসলামপন্থী দলে হিসাবেই পরিচিত হয়ে উছেছে বাংলাদেশে। তথাপি ভোটের ময়দানে কট্টর জামাতের মতো বিশ্বস্ত নয় তারা। পদ্মাপাড়ে জল্পনা চলছে, সমস্যার সামধানে রাখঢাক উড়িয়ে জামাতের সঙ্গে মিশে যেতে চলেছে এনসিপি। সেক্ষেত্রে রাজৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি কি লাভবান হবে? উত্তর এখনও অজানা।
