সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাত্তরের ক্ষত সম্পূর্ণ বিস্মৃতপ্রায়! ক্রমশই পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন বাংলাদেশের ইউনুস। ৫০ বছর পর নিজেদের বন্দর পাক সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের অনুমোদন দিল ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে পাক নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ। শুক্রবার বিকেলে 'পিএনএস সইফ' চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করার পর রবিবার ঢাকা সফরে গিয়েছেন পাক নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফও। যদিও গোটা বিষয়টিকে সম্পূর্ণভাব 'সৌজন্য'র মোড়কে উপস্থাপিত করেছেন দু'দেশের সেনাকর্তারা। কিন্তু ৫০ বছর পর বাংলাদেশ যেভাবে পাক সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য নিজেদের এলাকা খুলে দিল, তাতে অন্যরকম গন্ধই পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে ভারতবিরোধী গোপন ষড়যন্ত্র।
রবিবার পাক নৌসেনা প্রধান নাভিদ আশরাফ ঢাকায় পৌঁছনোর পর তাঁকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয় বাংলাদেশি নৌসেনার তরফে। ঢাকায় নৌসেনা সদর দপ্তরে এই অনুষ্ঠানের পর তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশি নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান। বাংলাদেশের তরফে অবশ্য এই বৈঠককে 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' হিসাবেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে হাসিনা সরকার পতনের পর বদলের বাংলাদেশে পাকিস্তানের সঙ্গে এই সম্পর্ক মোটেই স্রেফ সৌজন্যের বেড়াজালে আটকে নেই, প্রতিবেশী দেশগুলি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা মানুষ মাত্রই বুঝতে পারেন।
জানা গিয়েছে, তিনদিনের বাংলাদেশ সফরে পাক নৌসেনা প্রধান নাভিদ আশরাফের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। শুধু বাংলাদেশের নৌসেনা নয়, বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা তাঁর। পাক যুদ্ধজাহাজ 'পিএনএস সইফ'-এ যে আধিকারিকরা এসেছে, তাঁরা চট্টগ্রামের নেভাল অ্যাকাডেমি, বাংলাদেশি নৌঘাঁটি এবং চট্টগ্রাম ঘুরে দেখবেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশি নৌসেনাও ‘পিএনএস সইফ’ পরিদর্শন করবেন। তিনদিন আপাতত চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় থাকবে পাক যুদ্ধজাহাজ। আগামী ১২ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে তা ছেড়ে যাবে। ইউনুস জমানায় পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন করে সখ্য এখন দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যতই সমালোচনা হোক না কেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি মাথাচাড়া দেওয়া ভারত-বিরোধী শক্তি যে নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানকেই কাছে টানবে, তা স্বাভাবিক।
