সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও বর্ষবরণ। কিন্তু অশান্ত বাংলাদেশে তাঁদের উৎসব উদযাপনে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করল মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। সমস্ত নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনে উত্তাল বাংলাদেশ। ফলে কীভাবে ২৫ ও ৩১ ডিসেম্বর সুষ্ঠুভাবে উৎসব উদযাপন হয় সেই প্রশ্নই উঠছে নানা মহলে।
জানা গিয়েছে, এই দুই উৎসব যথাযথভাবে উদযাপনে নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মহম্মদ সাজ্জাত আলি। তিনি বলেন, "আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এছাড়াও ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে। এই দুটি বড় উৎসবকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।"
ঢাকা পুলিশ জানিয়েছে, বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রত্যেকটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এছাড়া নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনও দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনও প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে ঢোকা যাবে না।
অন্যদিকে, নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হবে। কোনও উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ব্যতীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গুলশান, হাতিরঝিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ-সহ নানা ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া উৎসব দুটি উপলক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদার-সহ সমস্ত সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল মনিটরিং করা হবে। এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে সাধারণ বার বন্ধ থাকবে।