সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা! মুদি দোকানদার আবু সায়েদ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই নির্দেশ দেন। পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর প্রথম মামলা দায়ের হল হাসিনার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। যার জেরেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন হাসিনা। আন্দোলনের সময় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল-সমাবেশ করে। মামলায় অভিযোগ জানানো হয়েছে, শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে। বহু ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হয়েছেন। গত ১৯ জুলাই মহম্মদপুরে বসিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ হচ্ছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদের মাথায় গুলি লাগে। তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।
[আরও পড়ুন: ‘কেউ নির্দেশ দিলেই কি আমরা নিষিদ্ধ হয়ে যাব?’, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন জামাতের]
জানা গিয়েছে, এস এম আমির হামজা নামে এক ব্যক্তি এই মামলার আবেদন করেন। সচেতন নাগরিক হিসাবে একজন নিরীহের হত্যার বিচার চেয়ে এই মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। আদালতের কাছে তাঁর আর্জি, নিহত সায়েদকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে কবর দেওয়া হয়েছে। তাঁর পরিবার সেখানেই থাকেন। এই কারণে তাঁরা ঢাকায় এসে মামলা করতে পারবেন না। বিবেকের তাড়নায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি এই মামলা করেছেন।
এই ঘটনায় আরও ৭ জনের জড়িত থাকার অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাঁরা হলেন, আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক, প্রাক্তন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি হারুন-অর-রশীদ ও অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার। আমির হামজার অভিযোগ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করার জন্য বারবার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে সকলে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।