সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওপারবাংলার অভিনেতা তথা ইনফ্লুয়েন্সার হিরো আলম। খবর পেয়েই স্বামীর কাছে ছুটে গেলেন রিয়ামণি। এই বিচ্ছেদের যন্ত্রণার জন্য সোশাল মিডিয়ায় বিঁধলেন তৃতীয়পক্ষকে। ভিডিও পোস্ট করে লিখলেন, 'সম্পর্ক গড়ে দু'জনের মতে আর ভেঙে যায় তৃতীয়পক্ষের কারণে।'
একাধিক কারণে বারবার শিরোনামে উঠে আসেন বাংলাদেশের অভিনেতা তথা ইনফ্লুয়েন্সার হিরো আলম। সম্প্রতি তাঁর ডিভোর্সের মামলা ও বিদেশি প্রেমিকাকে নিয়ে চরমে উঠেছিল চর্চা। এসবের মাঝেই বৃহস্পতিবার রাতে যমুনা নদীর তীরে ভান্ডারবাড়ি গ্রামে বন্ধু তথা নাট্যকার জাহিদ হাসান সাগরের বাড়ি গিয়েছিলেন হিরো আলম। রাতে দুইবন্ধুর মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। বিষয় ছিলেন হিরো আলমের স্ত্রী রিয়ামণি। এরপর ঘুমিয়ে পড়েন দুজনই। শুক্রবার বেলা গড়িয়ে গেলেও ঘুম থেকে ওঠেননি অভিনেতা। তাতে সন্দেহ হয় জাহিদের। এরপর হিরো আলমের বালিশের পাশে ঘুমের ওষুধ দেখেন তিনি। তড়িঘড়ি জাহিদ হাসান হিরো আলমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টা জানতে পেরেই হাসপাতালে ছুটে গেলেন রিয়ামণি। এরপরই সোশাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন রিয়ামণি। সেখানে দেখা যায়, তরুণী একটি গাড়িতে বসা। তাঁর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে হিরো আলম। ছবির ক্যাপশনে লেখা, 'সম্পর্ক গড়ে তুলতে যেমন সময় লাগে। সম্পর্ক ভেঙে দিতেও তেমন সময় লাগে। সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু'জনের মতে আর ভেঙে যায় তৃতীয় পক্ষের কারণে।' অর্থাৎ স্বামীর এই পরিণতির জন্য তাঁর বিদেশ প্রেমিকাকেই নিশানা করলেন রিয়ামণি। কিন্তু এবার কি জুড়বে হিরো আলম-রিয়ামণির সংসার? উত্তরের অপেক্ষায় অনুরাগীরা।
