সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর (Osman Hadi Death) খবর ছড়িয়ে পড়তে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি (Bangladesh Violence) শুরু হয়েছে। 'প্রথম আলো' এবং 'দ্য ডেইলি স্টার' সংবাদপত্রের দপ্তরে ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকি জ্বালিয়েও দেওয়া হয় অফিস। এমন হিংসার শিকার হয়ে হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা জানালেন এক মহিলা সাংবাদিক। জাইমা ইসলাম নামে এক সংবাদকর্মী সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, "ভিতরে আটকে পড়েছি, চতুর্দিকে ধোঁয়া, শ্বাস নিতে পারছি না। তোমরা কি আমাকে মেরে ফেলবে?"
হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঢাকা, চট্টগ্রাম-সহ বিভিন্ন এলাকায় শোক মিছিল বার হয়। বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বেরিয়ে আসেন পড়ুয়ারা শুরু হয় শোক মিছিল। শাহবাগ-সহ বিভিন্ন জায়গায় চলে অবস্থান বিক্ষোভ। তবে রাত যত বাড়তে থাকে, অশান্তির আগুন ততই ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকায় 'প্রথম আলো'-র দপ্তরে হামলা চালানো হয় এবং 'ডেইলি স্টার'-এর দপ্তর জ্বালিয়ে দেয় হামলাকারীরা। 'ডেইলি স্টার'-এর দপ্তরের ভিতরে অনেক কর্মী আটকে পড়েন। ওই সংস্থার আধিকারিক তাজদিন হাসান সমাজমাধ্যমে লেখেন, "দফতর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক কর্মী দফতরে আটকে পড়েছেন। ২০ জন কর্মী দফতরের ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন।"
প্রসঙ্গত, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাদি গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন। ইউনূস সরকারের অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লীগের এক কর্মী হাদিকে গুলি করেন। পরে চিকিৎসার জন্য হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ইনকিলাব মঞ্চ নামক সংগঠনের আহ্বায়ক হাদির মৃত্যুর পরেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। খুব সম্ভবত পরিস্থিতি আঁচ করেই গভীর রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইউনূস। সেখানে তিনি ‘ধৈর্য ও সংযম’ বজায় রাখার আবেদন জানান। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ বলছে, বিক্ষোভকারীরা দেশের অন্তর্বর্তী প্রধানের আবেদন কার্যত অগ্রাহ্য করেছেন।
