অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: কলকাতা, বারাসতের পর এবার হাওড়া। হাওড়া (Howrah) থেকে গ্রেপ্তার এক অবৈধ বাংলাদেশি (Bangladeshi Intruder)। অভিযোগ, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে এ রাজ্যে যাতাযাত করতেন তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে হাওড়ার সিটি পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম ইসরাফুল মাতব্বর(৩২)। হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় ছাতা সেলাইয়ের কাজ করতেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জেরা শুরু করতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। দেখা যায়, তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা। পেটের টানে দীর্ঘদিন ধরে বৈধ নথি ছাড়াই এ রাজ্যে যাতায়াত করতেন। জানা গিয়েছে, বছরের বিশেষ বিশেষ সময় এ রাজ্যে এসে ছাতা সারানোর কাজ করতেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে হাওড়া পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিধানভায় BJP’র ছেড়ে যাওয়া ৮ কমিটির মাথায় তৃণমূল বিধায়করা, পদ পেলেন মদন মিত্র]
ইসরাফুল মাতব্বরের বিরুদ্ধে ফরেনার অ্যাক্টের ১৪এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতের সঙ্গে কি কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছে এসটিএফ। কীভাবে সীমান্ত পার করত ইসরাফুল, কারা তাকে এখানে আশ্রয় দিত, এতদিন সে আসাযাওয়া করত কিন্তু কেন পুলিশ তার হদিশ পায়নি, উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
দক্ষিণ শহরতলির হরিদেবপুর থেকে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয় তিন জেএমবি জঙ্গি নাজিউর রহমান পাভেল, মেকাইল খান ওরফে শেখ সাব্বির ও রবিউল ইসলাম। এবার তাদের কতজন সঙ্গী তথা জেমএবির জঙ্গি সদস্য কলকাতা বা আশপাশের জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। একইসঙ্গে ধৃত জঙ্গিদের জেরায় উঠে এসেছে একের পর এক অসঙ্গতি। মঙ্গলবার লালবাজারে জঙ্গিদের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও এনআইএ আধিকারিকরা জেরা করেন। এর আগে মুর্শিদাবাদ থেকে এনআইএর হাতে ধরা পড়েছে জেএমবির জঙ্গি। এই জঙ্গিদের সঙ্গে খাগড়াগড়ের কোনও যোগ রয়েছে কি না, এনআইএ তা খতিয়ে দেখেছে। জেরার মুখে কখনও জঙ্গিরা গোয়েন্দাদের কাছে দাবি করেছে যে, তাদের কলকাতা মডিউল তৈরির জন্য রাখা হয়েছে।