সুকুমার সরকার, ঢাকা: নানা ধরনের কটূ মন্তব্য করে বাংলাদেশের (Bangleadesh) জনপ্রিয় গায়ক এখন অপ্রিয়, বিতর্কিতও। ‘জি-বাংলা সারেগামাপা’ খ্যাত কণ্ঠশিল্পী বাংলাদেশের মাঈনুল আহসান নোবেল (Mainul Ahsan Nobel) নিজের সেসব ভুল স্বীকার করে একাধিকবার ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন। বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ডিভিশন তাঁকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আর তারপরই নোবেল সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, তাঁর ‘মানসিক চিকিৎসা’ চলছে। এ নিয়ে ফের শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।
বেশ কয়েকদিন ধরে দেশের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী জেমস, সুরকার ইথুন বাবু-সহ কয়েকজন সংগীতকার ও তাঁদের অনুরাগীকে উদ্দেশ্য করে অপ্রীতিকর ফেসবুক পোস্ট করেন নোবেল। তাতে অবমাননাকর কিছু মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে। সাফাই দিতে গিয়ে নোবেল জানিয়েছিলেন, তাঁর ফেসবুক হ্যাক হওয়ায় এ ধরনের পোস্ট, এতে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। বুধবার ডিএমপি সদর দপ্তরে গিয়ে সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেন, নোবেলকে ডাকা হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সাংবাদিকের গ্রেপ্তারিতে উত্তাল বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক চাপের আশঙ্কা বিদেশমন্ত্রীর]
এরপর পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর নোবেল তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমি মাঈনুল আহসান নোবেল। আমি আপনাদের নোবেল। আজ আমি নোবেল হতে পেরেছি আপনাদের ভালবাসা, সমর্থন ও দোয়ায়। দুই বাংলার অসংখ্য বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য গান গাইতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমি বাংলাদেশ-সহ সারা বিশ্বের বাংলা গানের ভক্তদের জন্য মৌলিক গান নিয়ে ফিরে আসতে চাই। আমি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আমার পেজে সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ট্যাটাস দিই বা কথা বলি। মানসিক ও শারীরিক বিচ্যুতি অনেক সময় ফেসবুক-সহ আমাদের মিথষ্ক্রিয়ার বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব ফেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার অনেক পোস্ট এই বিচ্যুতির ফল। আমি বিশ্বাস করি, আমার পোস্ট অনেককেই ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সমষ্টিগতভাবে সম্মানিত নেটিজেনদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।’
[আরও পড়ুন: ‘এই আমাদের আচরণ?’ বাংলাদেশে মহিলা সাংবাদিক নিগ্রহের তীব্র প্রতিবাদ জয়ার]
নোবেল আরও লেখেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বিখ্যাত লিজেন্ড শ্রদ্ধেয় জেমস ভাই, শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় তাপস ভাই, প্রিয় গীতিকার-সুরকার ইথুন বাবু ভাই, সুপ্রিয় সংগীত পরিচালক আহমেদ হুমায়ুন ভাই, সময় টিভির সাংবাদিক আল কাছির ভাই-সহ সকল সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে ক্ষমা চাইছি। আমার পোস্টের মাধ্যম যারা কষ্ট পেয়েছেন, তাদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করি। আমি এই মুহূর্তে আমার মানসিক ও শারীরিক বিচ্যুতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমার পরিবারের সমর্থনে আমি চিকিৎসা গ্রহণ করছি ও আল্লাহর রহমতে শিগগিরই সুস্থ হয়ে নতুন গান নিয়ে ফিরে আসব।’