সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রামীণ রাস্তা, ১০০ দিনের কাজ, ‘বাংলার বাড়ি’, কোনও প্রকল্পেরই টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। বুধবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমনই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীকে প্রাপ্য পাইয়ে দিতে দিল্লি যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
বুধবার দুপুরে পূ্র্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে ডিএম, এসপি, বিডিও, বিধায়ক, সাংসদরা ছিলেন। সেই সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “গ্রামীণ রাস্তা, বাংলার বাড়ি, ১০০ দিনের কাজ, অনেক সমস্যা। ৬ মাস ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। যেখানে ১৫ দিনের মধ্যেই টাকা দেওয়ার কথা।” এরপরই জেলাশাসকদের তিনি বলেন, “ডিএম’দের কাছে আমার অনুরোধ, পিডব্লিউডি, জলধরো জলভরো-সহ যে সকল প্রকল্পের কাজে বাইরের লোক ব্যবহার করা হয়, সেখানে আপাতত জব কার্ড যাঁদের রয়েছে, তাঁদের নেওয়া হোক।”
[আরও পড়ুন: পাহাড়ে উড়ল সবুজ আবির, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ’, জয়ের পর বললেন TMC প্রার্থী বিনয় তামাং]
প্রকল্পের নামের কারণে কেন্দ্রের থেকে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সে প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজস্থানের প্রকল্প যদি সেখানকার নামে হয়, তাহলে বাংলা আমাদের জন্মভূমি, সেখানকার প্রকল্প ‘বাংলার বাড়ি’ কেন হবে না। এই প্রকল্পের কাজে ৪০ শতাংশ অর্থ রাজ্য ব্যয় করে।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিবছর বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কত বাড়ি দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরি করে কেন্দ্র। কিন্তু চলতি বছরে তা করা হয়নি। ফলে নতুন তালিকা যাতে করা না হয়, জেলা প্রশাসনের তরফে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, কেন্দ্র সহযোগিতা না করলে নতুন করে কাজ করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বাড়ি প্রসঙ্গে আরও বলেন, “যে গুলি তালিকাতে ছিল সেগুলিও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি দিল্লিতে যাব, কোন অপরাধে অপরাধী করা হল, তা জানতে চাই।” কেন্দ্র রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, এদিন সেই অভিযোগও করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিকে নিজেদের দায়িত্বে রাস্তার কাজ করার নির্দেশও দেন। সব মিলিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় ছিল কেন্দ্র।