অর্ণব আইচ: টোল প্লাজায় নতুন পদ্ধতিতে টাকা হাতাচ্ছে কিশোর ও বালকরা। তাদের হাতে থাকা ঘড়ির মতো স্ক্যানার দিয়ে গাড়ির কাচে লাগানো ‘ফাসট্যাগ’- এর বারকোড স্ক্যান করে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা। সম্প্রতি কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের কাছে এই ব্যাপারে ভিনরাজ্য থেকে সতর্কবার্তা এসেছে। এমনকী, একটি ভিডিও এসেছে পুলিশের হাতে। সেই সূত্র ধরে কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন টোল প্লাজায় শুরু হয়েছে পুলিশের বিশেষ নজরদারি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে যে, এক কিশোর টোল প্লাজায় আসা গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে গাড়ির কাচ মুছছে। কিশোরের হাতে রয়েছে একটি ‘ঘড়ি’। গাড়ির সামনের কাচে লাগানো ‘ফাসট্যাগ’ (Fastag)। ওই ট্যাগের বার কোড স্ক্যান করে গাড়ির মালিকের ‘ফাসট্যাগ অ্যাকাউন্ট’ থেকে কেটে নেওয়া হয় টাকা। এই পদ্ধতিকে কাজে লাগাচ্ছে জালিয়াতরাও। কিশোর বা বালকরা গাড়ির কাচ মোছার নাম করে তার হাতের ‘ঘড়িটি’ নিয়ে যাচ্ছে ‘ফাসট্যাগ’এর বার কোডের কাছে। স্ক্যান করে ফেলছে বার কোড। দেখা যাচ্ছে, মুহূর্তেই ওই গাড়ির মালিকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ বা ৭০ টাকা চলে যাচ্ছে অন্য একটি অ্যাকাউন্টে।
[আরও পড়ুন: প্রতারকদের ফোন ভয় ধরাচ্ছে? তিনটি উপায় বাতলে সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ]
ওই ঘড়ির মতো দেখতে বস্তুটি আসলে স্ক্যানার (Scannar)। সেটি দিয়েই বারকোড স্ক্যান করা হচ্ছে। কোনওভাবে জালিয়াতরা ওই বারকোডের সঙ্গে নিজেদের পছন্দের অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেছে। ফলে সরকারের অ্যাকাউন্টের বদলে তাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে টাকা। দেখা গিয়েছে, অনেক সময়ই যে বালক বা কিশোর গাড়ির কাচ মুছছে, সে টাকা চাইছে না। তাতেই সন্দেহ হয় গাড়ি চালকদের।
ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কিশোরকে ‘ঘড়ি’র ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করার পরই সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, এখনও কলকাতা সহ রাজ্যের কোনও টোল প্লাজায় এই ধরনের জালিয়াতির ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের হয়নি। যেহেতু ভিনরাজ্যে এই ঘটনা ঘটেছে, তাই টোল প্লাজাগুলিতে নজর রাখা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।