সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রাজ্যে আগামী দু’সপ্তাহ কার্যত লকডাউন। যাত্রী সংখ্যা এমনিতেই তলানিতে ঠেকছিল। নতুন করে কড়া সরকারি বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় তা আরও কমবে। তাই বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রেল (Rail)। গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন মানুষজন পাহাড়মুখী হতেন, ঠিক সেসময় পাহাড়গামী ট্রেনে যাত্রী না হওয়ায় দার্জিলিং মেল (Darjeeling Mail) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, দশ শতাংশের কম যাত্রী হওয়ায় সোমবারই পাঁচ জোড়া ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পূর্ব রেল। অগ্নিবীণা, রামপুরহাট এক্সপ্রেসকেও বাতিলের তালিকায় রাখা হচ্ছে। বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেন, ইএমইউ ট্রেন রাজ্যের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধই থাকবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
এই মুহূর্তে রেলকর্মীদের জন্য স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চলছে। তবে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতে তার সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া কেউই সেই ট্রেনে চড়তে পারবেন না, সেই নিয়মে জোর দিচ্ছে রেল। এদিকে, জরুরি পরিষেবায় তালিকায় রয়েছে ব্যাংক (Bank)। সপ্তাহে ৫ দিন সকাল ১০ টাকা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ব্যাংক খোলা। তাই ব্যাংককর্মীরা যাতে যাতায়াতের জন্য ওই স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন (Staff Special train) ব্যবহার করতে পারেন, সেই আরজি নিয়ে রবিবার মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে ব্যাংক সংগঠন। আসলে, স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে আর কারা চড়তে পারবেন, তা রাজ্য সরকারের মাধ্যমেই রেলের কাছে সুপারিশ করার কথা। তাই নিয়ম মেনে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছেই ব্যাংক সংগঠনের আরজি, ব্যাংক কর্মীরাও বিশেষ ট্রেনে ওঠার অনুমতি পাক।
[আরও পড়ুন: এবার পণ্য পরিবহণের জন্য লাগবে ই-পাস, জেনে নিন আবেদনের পদ্ধতি]
এদিকে, রাজ্যে প্রায় লকডাউনের প্রথম দিন জরুরি কাজে রাস্তায় নেমে নাকাল মানুষজন। রবিবার থেকেই রাজ্যে বন্ধ হয়েছে সমস্ত গণপরিবহণ। ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার যাত্রীরা।যদিও গণপরিবহণ বন্ধ হওয়ার খবর জেনেই জরুরি পরিষেবার জন্য পথে বাড়তি ক্যাব নামিয়েছেন বিভিন্ন ক্যাব ও ট্যাক্সি সংগঠন। সেটাই এখন বিপদে ভরসা মানুষের। এদিন হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে অনেকে গাড়ি পেয়েছেন, আবার অনেকে পাননি। যাত্রীদের অবশ্য অভিযোগ, সাধারণ দিনের তুলনায় অনেক বেশি টাকা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আর চালকরা বলছেন, ”অন্য দিনের তুলনায় ভাড়া তো একটু বেশি হবেই।” সিটু পরিচালিত ক্যাব ইউনিয়নের নেতা এসকে মানু বলেন, “আমরা এতদিন ৩০০টি ক্যাব কোভিড অ্যাম্বুল্যান্স হিসেবে চালাচ্ছিলাম। গণপরিবহণ বন্ধ হতে আরও ২০০টি ক্যাব বাড়ানো হলো। রবিবার থেকেই সোমবারের জন্য বুকিং হচ্ছে।”