সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার নয়, বৃহস্পতিবার হবে বাপি লাহিড়ীর (Bappi Lahiri) শেষকৃত্য। লস অ্যাঞ্জেলসে ছিলেন প্রয়াত শিল্পীর ছেলে বাপ্পা। তিনি ফিরে এলেই মুম্বইয়ের পবনহংস ক্রিমেটোরিয়ামে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।
একের পর এক নক্ষত্রপতন। প্রথমে লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, তারপর বাপি লাহিড়ী। তিন কিংবদন্তি শিল্পীর প্রয়াণে শোকাহত অনুরাগীরা। মঙ্গলবার রাত ১১.৪৫ নাগাদ মুম্বইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাপি লাহিড়ী। হাসপাতালের ডিরেক্টর ড. দীপক নমযোশী জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ সংগীত পরিচালক। একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
অসুস্থতার জন্য মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন বাপি লাহিড়ী। সেখান থেকে সোমবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপরই তাঁকে ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সেখানেই রাত ১১.৪৫ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের ডিস্কো কিং। OSA তথা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিতে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: দেশের সবেচেয়ে বেশি করদাতাদের তালিকায় বাপি লাহিড়ী! কত সম্পত্তি রেখে গেলেন?]
গত শতকের আটের দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জগতে পপ-ডিস্কো গানের যে জোয়ার এসেছিল তাঁর অন্যতম পুরোধা ছিলেন বাপি। ‘ডিস্কো ডান্সার’ (১৯৮২), ‘ডান্স ডান্স’ (১৯৮৭) হয়ে একের পর এক ছবিতে করা তাঁর সুর সেই সময়ের তরুণ প্রজন্মকে আন্দোলিত করেছিল। সেই সময়ের এক প্রতিনিধি হিসেবে বাপি লাহিড়ীর অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে হবে।
সংগীতের সমসাময়িকতা যে বাপি লাহিড়ীর নাড়ির স্পন্দনে তা নতুন করে প্রমাণিত হয়েছিল ২০১১ সালে ‘ডার্টি পিকচার’ ছবিতে ‘উ লা লা’ গানের মধ্যে দিয়ে। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্মকে বুঁদ করে রাখার কোন জাদুক্ষমতায় বলীয়ান তিনি। তবে কেবল পপ বা ডিস্কো নয়, নরম রোম্যান্টিক গানেও যে তিনি অনন্য তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল কেরিয়ারের শুরুতে ‘চলতে চলতে’ (১৯৭৬) ছবিতে বাপির করা সুর থেকেই। সুরেলা এই সাম্রাজ্য পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখেই সুরালোকে পাড়ি দিলেন কিংবদন্তি শিল্পী। ইতিমধ্যেই শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কাজল, চাঙ্কি পাণ্ডে, গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য, শান, তালাত আজিজ, অলকা ইয়াগনিক, সোফি চৌধুরীর মতো তারকারা।