দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পড়াশোনায় সাহায্য করার অজুহাতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ক্রমাগত ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের কুন্দরালি এলাকায়। অভিযোগ, যুবকের ধর্ষণের জেরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যুবককে গণধোলাই দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বারুইপুর থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর নাম বাবলু ঢালি। কুন্দরালি এলাকাতেই থাকে সে। পেশায় গাড়ি চালক। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, এলাকার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে বাবলু তাঁদের পরিচিত। তবে তিন-চার মাস আগে থেকে নির্যাতিতার বাড়িতে তার যাতায়াত বেড়ে যায়। দুপুরে যখন কেউ বাড়িতে থাকত না। তখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে নতুন অঙ্ক কিংবা নতুন আঁকা শেখাবার নাম করে সে নিয়ে যেত। সেখানে কিশোরীকে ধর্ষণ করার পর মুখ না খোলার হুমকি দিত।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে গৃহত্যাগ, হোটেলে রহস্যমৃত্যু নিঃসঙ্গ স্বামীর]
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী কাউকে কিছু বললে নাকি ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিত বাবলু। কিশোরীর বোনকে খুন করার হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। অষ্টম শ্রেণির পরিবারের পক্ষের দাবি, কিছুদিন আগে নির্যাতিতার শরীরে পরিবর্তন ঘটতে থাকে। তখনই তাঁদের সন্দেহ হয়। শনিবার মেয়েকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। তখন সে যুবকের কুকীর্তির কথা জানিয়ে দেয়। ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। বিদ্যুতের পোস্টের সঙ্গে বাবলুকে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে বারুইপুর থানার পুলিশ। যুবককে উদ্ধার করে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়েছে।