সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্নানাগারে (Bathroom) স্নান ব্যক্তিগত কাজ। স্নানাগারটি অস্থায়ী হলেই সেই স্নানাগারে স্নানকে সার্বজনিক কাজ বলে চালিয়ে দেওয়া যায় না। একটি মামলায় এমনটাই জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। এক মহিলার স্নান লুকিয়ে দেখার অপরাধে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে নিম্ন আদালত এক বছরের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছিল। সেই রায়ই বহাল রাখল উচ্চ আদালতও।
আত্মপক্ষ সমর্থনে অভিযুক্তের যুক্তি ছিল, নির্যাতিতা খোলা জায়গায় অবস্থিত একটি অস্থায়ী স্নানাগারে স্নান করছিলেন। সেটা কোনও ব্যক্তিগত পরিসর নয়। এই বক্তব্যকে ‘অবান্তর’ বলে জানিয়েছে বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মার সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি জানিয়েছেন, ”সাক্ষীদের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, স্নানাগারটি ছোট ছোট দেওয়ালে ঘেরা ছিল। আর দরজার বদলে ছিল পর্দা। যেভাবে খোলামেলা জায়গায় অবস্থিত ওই স্নানাগারে স্নানকে ‘ব্যক্তিগত কাজ’ বলে দাবি করা হয়েছে তা কেবলই বোধহীন নয়, অবান্তরও। পুরুষ হোক বা নারী, স্নানাগারে কারও স্নান একেবারেই ব্যক্তিগত যেহেতু তা স্নানাগারের চার দেওয়ালের মধ্যেই করা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ভারতের আর্থিক বৈষম্য নিয়ে রিপোর্ট, সিবিআইয়ের নজরে সেই অক্সফ্যাম]
বিচারপতির পরিষ্কার দাবি, স্নানাগারটির দরজার পরিবর্তে যেহেতু পর্দা ঝোলানো ছিল, তাই সেটাকে প্রকাশ্য স্থান হিসেবে ধরা যায় না। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ”এই ধরনের ঘটনায় দেখা যায় দারিদ্রের মুখে পড়েই এমন পরিস্থিতিক শিকার হন নির্যাতিতারা যাঁরা বাড়ির ভিতরে স্নানাগার রাখার বিলাসিতা করতে পারেন না। বাড়ির বাইরে অস্থায়ী স্নানাগারেই তাঁদের কাজ চালাতে হয়।”
ওই ব্যক্তির সাজা বহাল রেখে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে কোনও মহিলা চরম অস্বস্তিতে পড়েন এবং ক্রমাগত ভীত হয়ে থাকেন। এর আগে অতিরিক্ত জেলা আদালতও এই রায়ই দিয়েছিল। এরপরই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু সেখানেও ধোপে টিকল না যুক্তি।