সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট কোহলি যতই আপত্তি করুন। বিদেশ সফরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়া নিয়ে নীতি বদলাবে না বিসিসিআই। সাফ জানিয়ে দিলেন বোর্ড সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া। তিনি স্পষ্ট বলছেন, দেশ এবং প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই পরিবার নীতি এনেছে বোর্ড। অদূর ভবিষ্যতে তাতে বদল আসার সম্ভাবনা নেই।

ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলির আমলে যে আমূল বদলগুলি হয়েছিল সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের হোটেল রুম এবং ড্রেসিংরুমে অবাধ আনাগোনা। এমন নয় যে কোহলির আগে ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যরা টিম হোটেলে যেতেন না। কিন্তু বিরাটের আমলে সেটা চরম আকার ধারন করে। পরবর্তী কালে রোহিতও সেই সংস্কৃতি চালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারতের ব্যর্থতার পর ছবিটা বদলে গিয়েছে। বোর্ডের একাংশ টিম ইন্ডিয়ার ব্যর্থতার জন্য পরিবারের সদস্যদের আনাগোনাকেও দায়ী করেছেন। বোর্ডের ধারণা, পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ক্রিকেটারদের মনঃসংযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। সম্ভবত সেকারণেই বোর্ডের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিদেশ সফরে আর পূর্ণ সময়ের জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাখতে পারবেন না ক্রিকেটাররা। ৪৫ দিনের সফরে সর্বাধিক ১৪ দিন পরিবারকে সঙ্গে রাখা যাবে। তার চেয়ে কম দিনের সফর হলে সেটা এক সপ্তাহ।
কিন্তু দিন দুই আগে বোর্ডের এই নীতি নিয়ে প্রকাশ্যেই আপত্তি জানান বিরাট কোহলি। তিনি বলে দেন, “আমার মনে হয় ওরা বুঝতেই পারছে না পরিবারের উপস্থিতি আমাদের জন্য কতটা জরুরি। পুরো ব্যাপারটায় আমি ভীষণ হতাশ। মনে হয়, যাঁরা এই বিষয়গুলোর সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয়, তাঁদের পরামর্শ শোনা হয়েছে। হয়তো তাঁদেরই মনে হয়েছে পরিবারের সদস্যদের জন্য এই খারাপ ফর্ম।” বিরাট বলেন, “দিনের শেষে ঘরে ফিরে পরিবারের কাউকে পাওয়াটা স্বাভাবিক থাকার জন্য কতটা জরুরি, সেটা হয়তো বোঝানো যাবে না। কেউ একা একা বিমর্ষ হয়ে থাকতে চায় না।”
শোনা যাচ্ছিল, বিরাটের আপত্তির পর বোর্ড নাকি ভাবনাচিন্তা করছে পরিবার সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করা নিয়ে। কিন্তু বোর্ড সচিব জানিয়ে দিলেন, অদূর ভবিষ্যতে নিয়ম শিথিল করার প্রশ্ন নেই। দেবজিৎ সাইকিয়া বলছেন, "বোর্ড অনেক ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা জানতাম শুরুর দিকে কোনও কোনও মহল থেকে আপত্তি আসবে। যে কেউ চাইলে নিজেদের মতামত দিতেই পারে। কিন্তু এই নীতি তো সবার জন্য। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কোচ, সাপোর্ট স্টাফ সবার জন্য। এটা সবার কথা ভেবেই নেওয়া।"