সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা শুক্রবার জানিয়েছিলেন, ”কুস্তিগিরদের মারধর এবং হেনস্তার ছবি অস্বস্তিকর।”
সেই বিবৃতির চব্বিশ ঘণ্টা পেরনোর আগেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট রজার বিনি (Roger Binny) জানিয়ে দিলেন, তিনি এমন কোনও বিবৃতিই দেননি। কুস্তিগিরদের সমর্থনে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন বিশ্বজয়ী দলের সদস্যরা তার থেকে নিজেকে সরিয়েই নিলেন বিনি।
১৯৮৩ সালের বিশ্বজয়ী দলের সদস্য বিনিও। তিনি সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ”বেশ কয়েকটি মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বলতে বাধ্য হচ্ছি, কুস্তিগিরদের প্রতিবাদ নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করিনি। আমি বিশ্বাস করি অত্যন্ত দক্ষ একটি কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করছে। প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে বলতে পারি, খেলাধুলোর সঙ্গে রাজনীতি না মেলানোই ভাল।”
বিনির নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পিছনে অনেকেই মনে করেন কুস্তিগিরদের সমর্থনে কোনও বিবৃতি বা মন্তব্য করলে তিনি বিরাগভাজন হতে পারেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের। বিসিসিআই-এর সচিব পদে রয়েছেন জয় শাহ। ফলে অনেকেরই মত, বোর্ডের উপরে পরোক্ষভাবে হলেও গেরুয়া শিবিরের একটা প্রভাব রয়েছেই। সেই কারণেই হয়তো বিনি নিজেকে ঝামেলায় জড়াতে চান না।
[আরও পড়ুন: ভরতের জায়গায় কেন নয় ঋদ্ধি, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে হরভজনের প্রশ্ন]
১৯৮৩-র বিশ্বজয়ীদের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ”যেভাবে আমাদের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগিরদের হেনস্তা করা হয়েছে, সেই দৃশ্য আমাদের পীড়িত করেছে, বিব্রত করেছে। আবার একই সঙ্গে এটা ভেবেও উদ্বিগ্ন যে কুস্তিগিররা তাঁদের কষ্টার্জিত মেডেলগুলি জলে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন।” কুস্তিগিরদের উদ্দেশে কপিলদের আবেদন, দয়া করে হঠকারী কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। এই মেডেলগুলি বহু বছরের বহু চেষ্টা, আত্মত্যাগ, পরিশ্রম এবং চেষ্টার ফল।
বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের (Indian Team) সদস্যরা বলেন, “আমরা আশা করব কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না। একই সঙ্গে আমাদের আশা আপনাদের অভিযোগগুলি দ্রুত শোনা হবে এবং আপনারা সুবিচার পাবেন। দেশের আইনের শাসন বজায় থাকুক।” কপিলের সই বিশ্বজয়ী দলে সুনীল গাভাসকর, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, মোহিন্দর অমরনাথ, সন্দীপ পাটিলদের সঙ্গে ছিলেন রজার বিনিও। কিন্তু তিরাশির বিশ্বজয়ী দলের সদস্যদের বিবৃতি প্রকাশের পরে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিজেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছেন।