ধীমান রায়, কাটোয়া: আগে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) ‘মহামানব’ সম্বোধন করে প্রকাশ্য তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ১ বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। ফের বিতর্কে জড়ালেন তিনি। এবার যুব তৃণমূলের তরফে আয়োজিত অনুষ্ঠানে করোনাযোদ্ধা হিসাবে সংবর্ধনা দেওয়া হল বিডিওকে! শুধু বিডিও ই নয়, তার সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে দেখা গেল আউশগ্রাম ১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা ডঃ দেবতনু মাইতিকেও। দুই প্রশাসনিক আধিকারিকের এভাবে কোনও দলীয় সংবর্ধনা সভায় অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে দেখা দিয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) গুসকরা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে খড়ের চাল একটি বড় ঘর রয়েছে। যে ঘরটি তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় হিসাবেই ব্যবহার হয়। গুসকরার অন্য একটি জায়গাতেও তৃণমূলের স্থায়ী কার্যালয় রয়েছে। সোমবার আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের তরফে গুসকরার ওই ঘরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সংবর্ধনা দেওয়া হয় আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার, আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শেখ সালেক রহমানের পাশাপাশি বিডিও ও এডিওকে।
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: ঘট পশ্চিমমুখী, আতসকাচে সূর্যের আলো ফেলে হোমাগ্নি, জানুন কাঁথির রায়বাড়ির পুজোর ইতিহাস]
আউশগ্রাম ১ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবাঙ্কুর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যারা এই করোনা পরিস্থিতিতে যারা প্রথম সারিতে কাজ করে চলেছেন, যাদের জন্যই মূলত আমরা সাধারণ মানুষ সুরক্ষিত থাকতে পারছি সেরকম কয়েকজনকে আমরা যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দিয়েছি।” বিডিওর উপস্থিতি প্রসঙ্গে দেবাঙ্কুরের দাবি, তাঁদের সভায় কোনও দলীয় পতাকা ছিল না। যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুসকরা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের চাল ওই ঘরটি মূলত ব্যবহার করেন আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ সালেক রহমান। স্থানীয়রা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় হিসাবেই চেনেন ঘরটি।
এমন একটি দলীয় কার্যালয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সংবর্ধনা গ্রহণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যেও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আউশগ্রাম ১ ব্লকের-সহ কৃষি অধিকর্তা ডঃ দেবতনু মাইতি বলেন, “আমাকে বিধায়ক সম্বর্ধনা সভায় আমন্ত্রণ করেন। বিডিও স্যারের সঙ্গে ছিলাম।” যদিও আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার বলেন, “আমাকে যুব তৃণমূলের সভাপতি আমন্ত্রণ করেন। আমন্ত্রিত হিসাবে আমি ছিলাম। আর কাদের আমন্ত্রণ ছিল আমার জানার কথা নয়।” এবিষয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি বিডিও। তিনি বলেন, “যারা সম্বর্ধনা দিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসা করুন। এনিয়ে কিছু মন্তব্য করব না। আমি ব্যস্ত আছি।”