সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস (Corona Virus) -এর প্রকোপে বিশ্বজুড়ে হাহাকারের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এর ফলে বেশিরভাগ দেশেই এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউন জারি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে নিজেদের ঘরবন্দি করে রেখেছেন মানুষ। এক জায়গায় এভাবে আটকে থাকার ফলে দমবন্ধ হয়ে এলেও করার কিছু পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি দেখে যেন কিছুটা করুণা হয়েছে প্রকৃতির! করোনা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই আগামী সাত এপ্রিল সূর্যাস্তের পর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখা যেতে চলেছে এই বছরের সবথেকে বড় ও উজ্জ্বল চাঁদ। বিষয়টিকে নিয়ে খুব উৎসাহ দেখা দিয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানের পড়ুয়াদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মনেও।
এর আগে গত ৯ মার্চ থেকে ১১ মার্চের মধ্যে পৃথিবীর আকাশে দেখা যাওয়া চাঁদকে সুপার ওয়ার্ম মুন বলে অভিহিত করা হয়েছিল। এবার দেখা যেতে চলা সুপার মুনের নাম দেওয়া হয়েছে, উত্তর আমেরিকার পূর্ব প্রান্তে বসন্তকালে ফোটা ফ্লক্স সাবুলাটা ফুলের গোলাপি রঙ অনুসারে। তবে দেখা যেতে চলা চাঁদের রং কিন্তু আদতে গোলাপি নয়। কোথাও কোথাও আবার এই চাঁদকে স্প্রাউটিং গ্রাস মুন, এগ মুন এবং ফিস মুন বলে ডাকা হচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সাত তারিখ সূর্যাস্তের পর এই সুপার মুন দেখা গেলেও ভারতে পরের দিন সকাল আটটা পাঁচ মিনিটে দেখা যাওয়ার কথা। কিন্ত, তখন যেহেতু ভারতের আকাশে সূর্য থাকবে তাই এটা খালি চোখে দেখা যাবে না। ফলে ভরসা করতে হবে অনলাইনের উপরেই।
[আরও পড়ুন: হাঁচি-কাশি নয়, নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনা! গবেষকদের দাবিতে চাঞ্চল্য ]
পূর্ণিমার চাঁদের নামকরণের বিষয়টি সাধারণত আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলের ঋতুর উপর নির্ভর করে। আর বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে হওয়া পূর্ণিমার রাতে চাঁদ পৃথিবীর সবথেকে কাছে আসে। অন্য সময় পৃথিবী থেকে তার গড় দূরত্ব ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার হলেও ওই পূর্ণিমার রাতে ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯০৭ কিলোমিটার থাকে।
[আরও পড়ুন: হাতের মুঠোয় করোনার দাওয়াই! গবেষকদের দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য]
The post করোনা আতঙ্কের মধ্যেই আকাশে উঠবে বৃহত্তম গোলাপি চাঁদ, অধীর অপেক্ষায় বিশ্ববাসী appeared first on Sangbad Pratidin.