সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নামার আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল ইংল্যান্ড (England) শিবিরে। গোটা সিরিজেই দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে (Ben Stokes) পাবেন না জো রুটরা (Joe Root)।
কিন্তু কী হয়েছে বেন স্টোকসের? না, কোনও চোটের কারণে স্টোকস টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে যাননি। আসলে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্রেক নিয়েছেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার। ব্রেক নেওয়ার কারণটা মানসিক অবসাদ। সঙ্গে আঙুলের চোট। এর আগে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল থেকে শুরু করে আরও কয়েকজন ক্রিকেটার একই কারণে ক্রিকেট থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতি নিয়েছিলেন। শুক্রবার ইসিবির তরফ থেকে একটি প্রেস রিলিজ টুইট করা হয়। সেখানেই স্টোকসের ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিরতির কথা জানিয়ে দেওয়া হল। একইসঙ্গে আঙুলের চোটেও ভুগছিলেন স্টোকস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পরও সেই চোট ভালরকম সমস্যায় ফেলছিল তাঁকে। সবমিলিয়ে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডও। এই দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে ইসিবি। ইতিমধ্যে স্টোকসের বদলির কথাও ঘোষণা করে দিয়েছে বোর্ড। ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের জন্য আপাতত ডাকা হয়েছে ক্রেগ ওভার্টনকে।
[আরও পড়ুন: জনসংখ্যা মাত্র ৩৪ হাজার, তাতেই অলিম্পিকে পদক জিতে নজির গড়ল এই দেশ]
এর আগে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও তাঁর মানসিক অবসাদগ্রস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তাও আবার ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েই ওই ঘটনা ঘটেছিল বিরাটের সঙ্গে। ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে একের পর এক ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন কোহলি। আর তাতেই বাড়ে হতাশা। পাঁচ টেস্টে কোহলির সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ১, ৮, ২৫, ০, ৩৯, ২৮, ০, ৭, ৬ ও ২০। অর্থাৎ দশটি ইনিংসে শতরান তো দূর অস্ত, একটি হাফ-সেঞ্চুরিও করতে পারেননি তিনি। দশ ইনিংসে তাঁর গড় ছিল ১৩.৫০। সেই সময়ের কথা উল্লেখ করেই কোহলি বলেছিলেন, “হ্যাঁ, কেরিয়ারের এক সময় সত্যিই হতাশা গ্রাস করেছিল আমায়। ঘুম থেকে উঠেই যদি মনে হয় আজ আমি রান করতে পারব না, সেই অনুভূতি কোনও ক্রিকেটারের জন্যই সুখকর নয়। আমার বিশ্বাস, সব ক্রিকেটারকেই জীবনের একটা না একটা সময় এই অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। মনে হয় যেন নিজের হাতে কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া সম্ভব, ভেবে কূলকিনারা পাওয়া যায় না।”