সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১০ সালে শেষবার বিজয় হাজারে ট্রফি খেলেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তার পর এবার আবার। মাঝে তাঁর দু’খানা বিশ্বকাপ জেতা হয়ে গিয়েছে (২০১১ এবং ২০২৪), দু’টো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতা হয়ে গিয়েছে, টেস্ট খেলা শুরু করে অবসর নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু এত দিন পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেই দুরন্ত ছন্দে কোহলি। এই পরিস্থিতিতে তাঁর ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা মনে করছেন, ২০২৭ বিশ্বকাপে কোহলির খেলা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে না।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রাজকুমার বলেন, "এই মুহূর্তে ও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। সম্প্রতি ভারতের হয়ে দু'টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। অনেক দিন পর ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে একই ফর্ম ধরে রেখেছে। দিল্লিকে তো প্রায় একার হাতেই জিতিয়েছে। জাতীয় দলে ও সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার। বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি তৈরি বিরাট। এরপরেও কি বিশ্বকাপে ওর খেলা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে?"
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অসাধারণ ছন্দে পাওয়া গিয়েছিল বিরাটকে। রাঁচিতে ১৩৫, রায়পুরে ১০২, বিশাখাপত্তনমে অপরাজিত ৬৫ রানের সৌজন্যে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ানডেতে তাঁর রান ৩০২। গড় ১০০-র উপরে। তৃতীয় ওয়ানডেতে যে ছন্দে ব্যাট করছিলেন, তাতে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, টেম্বা বাভুমার দল আরেকটু বেশি রান করলে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করতেন কিং। চলতি বছর ১৩ ইনিংসে মোট ৬৫১ রান করেছেন। গড় ৬৫.১০। যা একই ক্যালেন্ডার বছরে সর্বাধিক রানের নজির।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে যেখানে শেষ করেছিলেন, বিজয় হাজারেতে ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছেন বিরাট। বিশ্বের তাবড় তাবড় বোলার যাঁর ভয়ে থরহরি কম্পমান। অন্ধ্রের অখ্যাত বোলাররা তাঁকে বেগ দেবেন কী করে? বিরাটও হাঁকিয়েছিলেন অনবদ্য সেঞ্চুরি। প্রথম শটেই লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬ হাজার রানের গণ্ডি পেরোন কোহলি। শচীন তেণ্ডুলকরের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে এই কীর্তি গড়েন তিনি। শচীন ১৬ হাজার রান করেছিলেন ৩৮৫ ইনিংসে। বিরাট পেরলেন ৩৩০ ইনিংসে। তারপর সেই ইনিংসেই অনবদ্য শতরান। আর দ্বিতীয় ম্যাচেও রানের স্ফুলিঙ্গ বজায় রয়েছে। প্রথম ম্যাচে ১৩১ রানের পর গুজরাটের বিরুদ্ধে ৬১ বলে ৭৭ রান করে গেলেন বিরাট।
