বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: নিশানায় কংগ্রেস। নিশানায় ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF)। নিশানায় শীর্ষনেতৃত্ব। হাত ধুয়ে ফেললেন জেলার নেতারা। ‘ভোটে ভরাডুবির দায় আমাদেরও’, এমনটা বললেন না একজনও। এমন দায়সারা অনুসন্ধানে কীভাবে বেরবে বিপর্যয়ের আসল কারণ? এই প্রশ্ন থেকেই গেল আলিমুদ্দিনের অন্দরে। উত্তর খুঁজতে এবার পার্টির একদম নিচুতলার মতামত শুনতে চান সিপিএম (CPM) নেতারা। এক্ষেত্রে সম্মেলনের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্ব। তার আগে বর্ধিত রাজ্য কমিটির অধিবেশন হতে পারে বলে পার্টির তরফে ইঙ্গিত মিলেছে।
বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে বসে চোরাবালিতে তলিয়ে গেল আলিমুদ্দিন। ‘নানা মুনির নানা মত’-এ আসল কারণ অধরাই রয়ে গেল। ভোটের পর প্রথম রাজ্য কমিটির সম্মেলনে দোষারোপ, পালটা দোষারোপে কার্যত তা মেছো হাটে পরিণত হয়। যেহেতু একতরফা জোটের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাই আগামী দিনে নতুন পথের সন্ধানের নিদান দেয় আলিমুদ্দিন। কিন্তু নতুন পথের সন্ধান করতে গিয়ে যাতে পথভ্রষ্ট না হয়, তার জন্য এবার নিচুতলার কর্মীদের উপর ভরসা রাখছে পার্টির।
[আরও পড়ুন: নারদ মামলা কি ভিনরাজ্যে সরছে? ফয়সালা করতে আজ হাই কোর্টে শুনানি]
রাজ্য কমিটির সভার শুরুতেই সদস্যদের একটি নোট দেন পার্টি রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Suryakanta Mishra)। সেই নোটে নয়া পথের সন্ধানে নিচুতলার মতামত নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে মতামত নেওয়ার কাজ হবে। আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে করোনা সংক্রমণ কমতে পারে। তখনই একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে সম্মেলন শুরু করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন। সম্মেলনে ভোটে বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান ও নয়া পথের সন্ধানের উপর জোর দিতে হবে। পার্টি রাজ্য কমিটির এক সদস্য জানান, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন পথের সন্ধান, বিপর্যয়ের কারণ খোঁজার পাশাপাশি সংগঠনের নেতৃত্ব রদবদল ঘটানো হয়। সংগঠনের যে এবার ব্যাপক রদবদল হতে চলেছে, নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় তার ইঙ্গিত মিলেছিল। এবার রাজ্য কমিটির সদস্যর বক্তব্যেও একই আভাস মিলেছে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী সব কাজ শেষ হতে এ বছর গড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়ল না রাজ্য, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী]
এদিকে, সংযুক্ত মোর্চা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। বিকল্প সরকার গঠনের ডাক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, সাংগঠনিক ত্রুটি ও নেতৃত্বের জনবিচ্ছিন্নতার কারণেই ভোটে জোটের বিপর্যয় বলে প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিল সিপিএম। নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর প্রায় একমাস পরে শনিবার বৈঠকে বসেছিল সিপিএম রাজ্য কমিটি।