সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিতে আসা দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা চলছেই। এরই মধ্যে নয়া তিরে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের অভিযোগ, রাজ্যের অর্থব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ নিয়ে অবিলম্বে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
এই মুহূর্তে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে শুক্রবার সাক্ষাৎ করেছেন বোস। শনিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Sitharaman) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। রাজভবন থেকে শনিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকের ছবি পোস্ট করা হয়। জানানো হয়, মৎস্য বিষয়ক ক্ষেত্রে দেশের আর্থিক উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে রাজ্যপাল-অর্থমন্ত্রীর। এর পরই রাজ্য বনাম রাজভবনের সংঘাতের সুর আরও চড়ল।
[আরও পড়ুন: পালিয়ে বিয়ে, মদের আসরে ডেকে জামাইকে খুন করালেন শ্বশুর!]
রাজ্যের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বোস বলেছেন, 'সব সীমা লঙ্ঘন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।' তাঁর কথায়, "পশ্চিমবঙ্গ যেভাবে আর্থিক ভাঙনের মুখে তা দেখতে খুবই খারাপ লাগছে। বিধানের ১৬৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক করার কথা বলছি এবং রাজ্যের আর্থিক বিষয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করার জন্য মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক করার কথা বলছি।" রাজ্যপালের দাবি, "রাজ্যের আর্থিক বিষয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক।"
[আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর ফের টি-২০র বিশ্বসেরা, রোহিতদের কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত ২০০৭-এর বিশ্বজয়ীরা]
এদিকে শপথ জটিলতা নিয়েও ফের রাজ্যপালকে বিঁধছেন বরাহনগর উপনির্বাচনে জয়ী সায়ন্তিকা। রাজ্যপালকে ফের চিঠি লিখে তিনি আবেদন করেছেন দ্রুত শপথগ্রহণের বন্দোবস্ত করা হোক। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "আমি মহামান্য রাজ্যপালের কাছে কী ভুল করেছি, তা কি জানতে পারি? আমি আপনার কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি যে, ভারতীয় সংবিধানের ১৮৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে কলকাতার বিধানসভাতেই স্পিকারের কাছে আমাকে শপথগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হোক।"