বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: এখনও সংকটজনক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে তাঁর শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমেছে। ফলে ধীরে ধীরে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট কমানো হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। মাঝরাতেই জ্ঞান ফিরেছিল তাঁর। আপাতত ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে হয়েছে তাঁকে।
বুধবার দুপুরে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bahattacharjee)। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয় তাঁকে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্বাসকষ্টের সঙ্গে সঙ্গে তীব্র জ্বরও ছিল। তবে স্বস্তি দিয়ে তাঁর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। চালু করা হয় অ্যান্টিবায়োটিক। ফুসফুস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মেডিক্যাল টিমও গঠিত হয়। বৃহস্পতিবার ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।।
[আরও পড়ুন : ‘টিকিট না পেলেও জট পাকানো চলবে না’, দলীয় কোন্দল নিয়ে কড়া বার্তা নাড্ডার]
সন্ধে থেকেই চি্কিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন বুদ্ধবাবু। মাঝরাতে তাঁর জ্ঞানও ফেরে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শেষ পরীক্ষায় তাঁর রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৪২ পাওয়া গিয়েছে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৬২। সিওপিডি রোগীদের ক্ষেত্রে এটা স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়ছে, বুদ্ধবাবুর শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন এখন ৯২ থেকে ৯৫ এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। চিকিত্সকরা আশাবাদী, এইভাবে যদি তিনি সাড়া দেন তাহলে তাঁকে তাড়াতাড়ি ভেন্টিলেটর সাপোর্ট থেকে বের করে আনা সম্ভব হবে। তাঁকে বাইপ্যাপ দেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, বুদ্ধবাবুর শরীরে PCO2 -এর স্বাভাবিক মাত্রা হল ৩৫ থেকে ৪০। সিওপিডি রোগীদের ওই মাত্রা থাকে ৫২ থেকে ৬০ শতাংশ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে ওই মাত্রা ৫২।
এদিকে তাঁর অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত তাঁর সুস্থতা কামনা করেন। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দেন হাসপাতালে গিয়ে খবর নিতে। পরে খোদ মুখ্যমন্ত্রীই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কথা বলেন বুদ্ধবাবুর মেয়ের সঙ্গে। জানান, “উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক, এই কামনাই করি।” উদ্বেগ প্রকাশ করেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরি। তিনি বলেন, “শুনলাম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধবাবু অসুস্থ। বিষণ্ণ হলাম, দ্রুত ওনার আরোগ্য কামনা করি।” প্রতি মুহূর্তে বুদ্ধবাবুর শারিরীক অবস্থার খবর নিচ্ছে বামফ্রন্টের শীর্ষনেতৃত্ব।