সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আদ্রায় নিহত তৃণমূল (TMC) নেতা ধনঞ্জয় চৌবের বাড়িতে ফোন করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। শনিবার বিকেল ৪টে ১৫ নাগাদ রঘুনাথপুর ১ ব্লকের আড়রা গ্রামে তাঁর বাড়িতে ফোন করা হয়ে রাজ্যপালের সচিবালয় থেকে। ধনঞ্জয়বাবুর মেজদা আনন্দ চৌবের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল নিজে। জানতে চান, পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি কেমন? সমস্ত ঘটনা জেনে আশ্বাস দেন, তিনি চৌবে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করবেন। একটি হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) নম্বর দেন, যেখানে তাঁদের ব্যাংক অ্য়াকাউন্ট নম্বর দেওয়ার কথা জানান রাজ্যপাল। তদন্তে কোনওরকম খুঁত থাকলে তিনি নিজে তা দেখবেন বলেও জানান। রবিবার ধনঞ্জয় চৌবের পরিবারের পাশে থাকতে তাঁদের বাড়ি যাবেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় কার্যালয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আদ্রা টাউন তৃণমূল সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবের। ঘটনার পরদিনই ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই হত্যাকাণ্ড ঘিরে অশান্ত হয়ে ওঠে পুরুলিয়ার (Purulia) রেল শহর আদ্রা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধেবেলাই রাজভবন থেকে ফোন গিয়েছিল ধনঞ্জয় চৌবের পরিবারে। জানানো হয়েছিল, তিনি চৌবে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চান।
[আরও পড়ুন: একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ, অ্যাক্সিস-সহ ৩ ব্যাংককে জরিমানা করল RBI]
এরপর শনিবার বিকেল ৪টে ১৫ নগাদ ফোন করা হয় রাজভবন থেকে। ধনঞ্জয়বাবুর মেজদা আনন্দ চৌবের সঙ্গে কথা বলেন সি ভি আনন্দ বোস। তিনি পরিবার সম্পর্কে তথ্য জানতে চান। জানানো হয়, নিহত নেতার স্ত্রী, ছেলেমেয়ে রয়েছেন, বাড়িতে মা-বাবাও থাকেন। রাজ্যপাল জানতে চান, ধনঞ্জয়বাবুর পেশা কী ছিল? তাঁকে জানানো হয়, কেক-পাঁউরুটির ব্যবসা ছিল। এছাড়া তৃণমূলের টাউন সভাপতি ছিলেন সেজো ভাই। এত বড় পরিবার, আনন্দবাবুর একার পক্ষে চালানো সম্ভব নয় বলেও রাজ্যপালকে জানান। এরপর সি ভি আনন্দ বোস তাঁকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেন। ফোনে কথা বলার পর সংবাদমাধ্যমে একথাই জানিয়েছেন আনন্দ চৌবে।
[আরও পড়ুন: একজন হিংসার বলি, অপরের প্রাণ কেড়েছে ক্যানসার, মৃত ২ কর্মীর স্ত্রী-ই TMC প্রার্থী]
ধনঞ্জয় চৌবের মৃত্য়ুর তদন্ত করছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। এ নিয়ে রাজ্যপাল তাঁর দাদাকে জানান, তদন্ত নিয়ে কোনও সংশয় থাকলে রাজভবনে জানান, তিনি নিজে বিষয়টি দেখবেন। এছাড়া অন্য কোনও সমস্যা হলেও যেন নিঃসংশয়ে রাজ্যপালকে জানানো হয়।