নবেন্দু হাজরা: ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন অ্যাপ ক্যাবের সঙ্গে যোগ দিল বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন-সহ একাধিক ট্যাক্সি সংগঠন৷ ফলে
সোমবারের চেয়েও আজ পথে নেমে নিত্যযাত্রীদের আরও বেশি নাকাল হওয়ার আশঙ্কা৷ দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে অনলাইন ক্যাব বুক
করার কোনও উপায় তো রইলই না৷ উপরন্তু পথচলতি বা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে হলুদ ট্যাক্সিতেও যে সওয়ার হবেন, সেই রাস্তাও বন্ধ
আজকের মতো৷ সকালে রাস্তায় এটাই এখন চিন্তা হয়ে দাঁড়াচ্ছে নিত্যযাত্রীদের৷
[আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমডি করেছিলেন রোনাল্ড রস! ফের ভুল করলেন নির্মল মাজি]
সোমবার অ্যাপ ক্যাব ধর্মঘটের প্রথম দিনও ছবিটা ছিল বেশ অশান্তির৷ কোথাও গাড়ি ভাঙচুর। কোথাও যাত্রী হেনস্তা। আবার কোথাও চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে ধাক্কা। সোমবার সকাল থেকেই শহরে ধর্মঘটিদের দাদাগিরির এমন বিক্ষিপ্ত চিত্র চোখে পড়েছে। রোজকার কাজে বেরনো মানুষজন তো বটেই, চরম দুর্ভোগে পড়লেন দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরাও।যাত্রী প্রত্যাখ্যান থেকে জুলুমবাজি কিছুই বাদ রইল না। এমনকী শিয়ালদহ স্টেশনে লাক্সারি ট্যাক্সিতে বসে থাকা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিককে হেনস্তারও অভিযোগ উঠল। এসব দেখে রাজ্য প্রশাসন অবশ্য যাত্রীদের সাহায্যে হাত বাড়িয়েছে৷ পরিবহণ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রী ভোগান্তি দূর করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস চালানো হয়েছে। আজও চলবে অতিরিক্ত বাস৷ তবে তাতে ভিড়ের জেরে খুব একটা সুবিধা হয়নি যাত্রীদের৷আর সুযোগ বুঝে পকেট ফাঁকা করল হলুদ ট্যাক্সি।
পুলিশি জুলুম বন্ধ এবং যাত্রীভাড়া না বাড়িয়ে ক্যাবমালিক এবং অপারেটরদের ভাড়ায় সমতা আনার দাবিতে সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দেয় অ্যাপ-ক্যাব সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড। আর সেই ধর্মঘটের প্রথম দিন প্রভাব পড়ল ভালই। ধর্মতলায় ভাঙল অ্যাপভিত্তিক দুটি গাড়ির কাচ, ভাঙা হয়েছে লুকিং গ্লাসও। একাধিক জায়গায় গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের তরফে ইন্দ্রনীল রায় জানিয়েছেন, “দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণেই
এই ধর্মঘট ডেকেছি৷’’
[আরও পড়ুন: ‘ভাটপাড়া ইস্যুতে আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী’, নবান্ন থেকে বেরিয়ে বললেন কৌশিক সেন]
এদিকে, সোমবার অ্যাপ ক্যাব ধর্মঘটের কথা জানতেন না কলকাতার বাইরে থেকে বেরিয়ে ফেরা মানুষজন৷ ফলে শিয়ালদহ বা হাওড়া স্টেশনে নেমে হলুদ ট্যাক্সির সওয়ার হয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হল তাঁদের অনেককেই৷অনলাইন ক্যাবের চাকা যে একেবারেই বসে গিয়েছিল, তাও নয়৷ তবে বুকিংয়ের প্রায় ৪০,৪৫মিনিট পর ক্যাব মিলল এবং ভাড়া অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা৷ ক্যাব ধর্মঘটের প্রথমদিন হাতে গোনা কয়েকটি ক্যাবে চড়ল সারচার্জের কাঁটা। ফলে ধর্মঘটের গেরোয় পকেট ফাঁকা আম-আদমির।আর আজ দুর্ভোগ এবং ট্যাক্সির ভাড়া আরও কয়েকগুণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা সাধারণ মানুষের৷
The post অ্যাপ ক্যাবের দোসর হলুদ ট্যাক্সি, ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে আরও নাকাল হওয়ার আশঙ্কা appeared first on Sangbad Pratidin.