বাংলা- ৪১৯/১০ (অনুষ্টুপ- ১৪৫, অভিমন্যু- ৫৭)
হরিয়ানা- ১৬৩/১০ এবং ২০৬/১০
এক ইনিংস ও ৫০ রানে জয়ী বাংলা
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রণদেব বসু, শিবশংকর পাল, অশোক দিন্দা। বাংলার এই পেস ত্রয়ীকে বঙ্গ ক্রিকেট সমর্থকদের নির্ঘাৎ এখনও মনে আছে। যাঁরা এক সময় দিনের পর দিন টানতেন বাংলাকে। রণদেবরা দেখলে খুশি হবেন যে, তাঁদের যোগ্য উত্তরসুরিরা চলে এসেছেন। যাঁরাও পারেন একসঙ্গে বিপক্ষকে কাঁপিয়ে দিতে। বাংলার সেই পেস ত্রয়ী মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েল ও আকাশদীপ। যাঁরা পেসের আগুনে ছিন্নভিন্ন করে দিলেন হরিয়ানাকে। তাও আবার তাদেরই মাঠে। এই তিন পেসারের দাপটে এক ইনিংস ও ৫০ রানে জিতে ৭ পয়েন্ট ঘরে তুলল বাংলা। আর সেই সঙ্গে রনজি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল লক্ষ্মীরতন অ্যান্ড কোং।
লাহলির সেই ভয়াল সবুজ পিচ এই ম্যাচে ছিল না। ব্যাটারদের শট খেলতে খুব একটা অসুবিধে হয়নি। বৃহস্পতিবার ম্যাচের তৃতীয় দিন তো পিচ ব্যাটারদের কাছে একেবারে স্বর্গভূমিতে পরিণত হয়েছিল। হরিয়ানা দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনিং পার্টনারশিপে ১২৯ রান তুলে দেওয়ার পর অনেকের মনে হচ্ছিল, তাহলে কি শেষমেশ পুরো পয়েন্ট পাবে না বাংলা? ঠিক তখনই হরিয়ানা শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা দিলেন ঈশান। ফেরালেন চৈতন্য বিষ্ণোইকে (৫৫)। তিন বলের মধ্যে আবারও উইকেট পান ঈশান। তারপর আবার আকাশদীপ আর মুকেশ কুমার। আকাশ প্রথমে ফেরান হিমাংশু রানাকে। সেট হয়ে যাওয়া যুবরাজ সিংকে (৭৮) তুলে নেন মুকেশ। এক ওভারের মধ্যেই আবার হরিয়ানার অন্যতম সেরা নিশান্ত সিন্ধুকে আউট করেন মুকেশ।
[আরও পড়ুন: পুঁচকে পুঁচকে অক্ষরে নয়, প্যাকেটের গায়ে MRP লিখতে হবে বড় করে, নির্দেশ রাজ্যের]
স্লিপে খুব ভাল ক্যাচ নেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। সেখানেই কেঁপে যায় হরিয়ানা। দিনের শেষে তাদের স্কোর ১৭৭/৭। আর এদিন আকাশদীপের তাণ্ডবে ২০৬ রানে অলডাউন হয়ে যায় হরিয়ানা। ইনিংস আর ৫০ রানে হারে দল। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১০ উইকেট তুলে নেন আকাশদীপ।
তবে শুধু বোলারদের কথা উল্লেখ করলেই হবে না। বাংলার স্কোরকার্ডে ৪১৯ রান তুলে নিয়ে আগেই কাজ এগিয়ে রেখেছিলেন লক্ষ্মীরতনরা। সৌজন্যে অনুষ্টুপের চওড়া ব্যাট। ১৪৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি।