রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: উত্তরবঙ্গ দিয়ে বিরল বণ্যপ্রাণী পাচারের চেষ্টা। পুলিশের তৎপরতায় বানচাল হল ছক। রবিবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে একটি অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙারু (Australian Kangaroo) উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তার হয় দুই পাচারকারীও। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই পাচার চক্রের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
ইতিপূর্বে একাধিকবার উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এলাকা থেকে বন্যপ্রাণী উদ্ধার হয়েছে। তাদের পাচারের চেষ্টা করার সময়ই হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে পাচারকারীের। বানচাল হয়েছে পাচারের ছক। সেই সময় অন্যান্য বণ্যপ্রাণী ধরা পড়লেও অস্ট্রেলিয়ার ক্যাঙারু পাচারের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন।
[আরও পড়ুন: বইমেলায় একের পর এক পকেটমারি, পুলিশের জালে জনপ্রিয় অভিনেত্রী]
জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙারুটিকে অসম থেকে হায়দরাবাদে পাচারের ছক ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার বারোভিসা এলাকায় অভিযান চালায় কুমারগ্রাম থানার পুলিশ। নাকা তল্লাশি চলছিল বিভিন্ন এলাকায়। তখনই অসমের একটি ট্রাক দেখতে পায় পুলিশ। সন্দেহ হতেই তল্লাশি চালায় তারা। দেখা যায়, পিছনে প্লাস্টিকে মুড়ে একটি বড় খাঁচা রাখা হয়েছে। প্লাস্টিক খুলতেই দেখা যায় খাঁচায় বন্দী অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাঙারু।
সঙ্গে সঙ্গে ক্যাঙারুটিকে উদ্ধার করে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় হায়দরাবাদের বাসিন্দা ইমরান শেখ ও জায়েদ শেখ নামে দুই পাচারকারীকে। তাদের জেরা করে পাচার চক্রের চাঁইয়ের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার ঘোষপুকুরের ফৌজিজোতে চিতাবাঘ শিকারের পর মাংস রান্না করে খেয়েছিল একদল যুবক। ছাল পাচারেরও চেষ্টা করা হয়। তবে তার আগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেন এসএসবির গোয়েন্দা বিভাগ এবং ঘোষপুকুর রেঞ্জের বনকর্মীরা। ১১০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ৫০ সেন্টিমিটার চওড়া চিতাবাঘের ছাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। নখও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘের চামড়া নেপালে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করার উদ্দেশ্য ছিল ধৃতদের।