দেব গোস্বামী, সিউড়ি: সিউড়িতে পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পর থেকেই কড়া পদক্ষেপ করছে বীরভূম প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের মিনিস্ট্রিল গ্রামে পুলিশকে মারধর করা হয়। থানার আইসির কলার ধরে টানার ছবিও আতঙ্ক ধরিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় খানাতল্লাশি চালায় পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রামের ভিতর অস্ত্র কোথা থেকে এল? সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
![](https://mcmscache.epapr.in/mcms/434/a8a2c017e2b91afd0d2f9fd5d52ed44cbc32e704.jpg)
মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামে দুই যুবক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়ে ভয় দেখাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। প্রথমে বাসিন্দারা ভয় পেলেও পরে তাড়া করে দুজনকে ধরা হয়। হাত-পা বেঁধে শুরু হয়েছিল মারধর। পুলিশ তাঁদের উদ্ধারে এলে তাঁদের উপর রোষ গিয়ে পড়ে। তাঁদের উপর পালটা হামলা চালানো হয়। ওই দুই যুবককে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলে। মারধর করা হয় পুলিশ কর্মীদের। থানার আইসির জামার কলার ধরে টানাটানি চলতে থাকে। আক্রান্ত হয়ে কিছুটা পিছু হটে পুলিশ। পরে পুলিশের আধিকারিকরা বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
ঘটনার পর গ্রামজুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। বহু ব্যক্তি ঘরছাড়া রয়েছেন বলে খবর। বাকিরা যারা আছেন, তাঁরাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, "ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রসুলউদ্দিন আনসারি ও মাল্লু আনসারিকে অস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের উপর মারধরের ঘটনায় ২০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ৭জন পুরুষ, ১৩জন মহিলা।" হামলার ঘটনায় আরও একাধিক ব্যক্তির খোঁজ চালানো হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গ্রামবাসীদের কয়েকজনের সঙ্গে ওই যুবকদের বিবাদ ছিল। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তিনটি বন্দুক ও ছটি গুলি উদ্ধার করেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাইক বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কিন্তু গ্রামের মধ্যে বেআইনি অস্ত্র কোথা থেকে আসছে? আরও অস্ত্র কি গ্রামে লুকনো আছে? সেসব প্রশ্নই এখন আরও জোরালো হচ্ছে। রাজ্যের গোয়ালপোখর, ডোমকলেও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে দুষ্কৃতীদের ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল সিউড়ির ঘটনা। পুলিশের উপর কেন এভাবে হামলা হচ্ছে? সেই প্রশ্নও উঠছে।