দশ নয়, ট্যাব কিনতে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকল ২০ হাজার টাকা! শোরগোল কেশপুরে

07:10 PM Jan 29, 2021 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার ফলে সশরীরে ক্লাস করা কার্যত অসম্ভব। এই সময়ে অনলাইন ক্লাসই ভরসা পড়ুয়াদের। পড়াশোনার সুবিধার জন্য দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে দিনকয়েক পরে ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়ার কথা জানান। সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি স্কুলে ঘটল বিপত্তি। ১০ হাজারের পরিবর্তে ২০ হাজার টাকা ঢুকল পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে। কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটল তা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।

Advertisement

ঘটনা গত ২১ জানুয়ারির। ওইদিন কেশপুরের (Keshpur) ধলহারা পাগলীমাতা উচ্চবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ভোকেশনাল বিভাগের ২৪ জনের অ্যাকাউন্টে পরপর দু’বার ১০ হাজার করে মোট কুড়ি হাজার টাকা ঢোকে। কিন্তু কীভাবে ঘটল এমন কাণ্ড? স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের ই-মেল আইডিতে ভুল বানান টাইপ করা হয়ে গিয়েছিল। সেভাবেই তালিকা আপলোড করে ই-মেল ড্রাফট করা হয়। তবে সফটওয়্যারের কোনওরকম সমস্যায় ওই তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে যায়। তারপর সঠিক তালিকাও আপলোড করা হয়। তবে ততক্ষণে দু’টি তালিকা অনুযায়ী পরপর দু’বার ১০ হাজার টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘পথবদলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি’, বিজেপিতে যোগের জল্পনা উসকে দিলেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র]

 দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে দু’বার দশ হাজার টাকা ঢোকার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা। যদিও চাপের মুখে অতিরিক্ত টাকা পড়ুয়াদের থেকে ফেরত নিয়ে নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে প্রধানশিক্ষক সমস্ত পড়ুয়াদের অনুরোধও জানিয়েছেন। পাসবুক আপডেট করে বাড়তি টাকা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের দেখা করতে বলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও তাতে রাজি নয় পড়ুয়াদের অনেকেই। পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: অমিত শাহের সভার আগে তৃণমূলের পতাকায় ছয়লাপ ঠাকুরনগর, তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা]

Advertisement
Next