সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: লকডাউনের ফলে উত্তরবঙ্গের চা বলয় বিপাকে। তা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে রাজ্যের সিদ্ধান্তে। প্রাথমিকভাবে চা বাগানকে লকডাউনের আওতার মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষমেষ বণিকসভার দাবি মেনে দৈনিক চা পাতা তুলতে ছাড়পত্র পেয়ে গেল উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলি।
একদিকে যেমন এ সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের জন্য খুশির বার্তা বয়ে এনেছে, তেমনই বাগান চালু থাকলে উত্তরের চা বাগানগুলি বিপুল ঘাটতির বোঝা থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাবে। ২৫ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে দৈনিক চা পাতা তোলা সম্ভব হবে বলে রাজ্যের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে আগেই কাজ চালু রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য। এমনটাই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন। এবার ২৫ শতাংশ শ্রমিককে কাজের অনুমতি দেওয়ায় পাতা তোলার কাজ স্বাভাবিক এবং সুষম হবে বলে মনে করছে তারা। ফলে সাময়িকভাবে যে ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা অনেকটাই লাঘব হবে।
[আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত পানিহাটির প্রবীণ, গোটা পরিবারকে পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে]
চা শিল্পে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই চা বাগানে ফার্স্ট ফ্লাশ পাতা তোলার কাজ শুরু হয়ে যায়। এ বছর শুরু হলেও করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে তা ধাক্কা খেয়েছিল অনেকটাই। যার ফলে এবার একটা বড় অঙ্কের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছিল ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন। তাই অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও ৫০ শতাংশ শ্রমিককে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার দাবি উঠছে। যদিও ২৫ শতাংশ বন্দোবস্তও খুব একটা খারাপ নয় বলে মনে করছেন অনেকেই।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং- এই চারটি জেলায় চা বাগানের সংখ্যা অধিক। প্রায় শতাধিক বাগানের পাতা তোলার কাজ শুরু হলে যেমন স্থানীয় অর্থনীতির ভারসাম্য বজায় থাকবে, তেমনি প্রতি বছর চা পাতা সরবরাহ করে যে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা আয় হয় তাও বজায় থাকবে। তবে ফের ৫০ শতাংশ কর্মীকে কাজের অনুমতি দেওয়ার নতুন দাবিতে তাঁরা শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: লকডাউনের নিয়ম ভাঙার প্রতিবাদ, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিবাদী যুবককে বেধড়ক মার]
The post মিলল দৈনিক চা পাতা তোলার ছাড়পত্র, রাজ্যের সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে উত্তরবঙ্গের শ্রমিকরা appeared first on Sangbad Pratidin.
