সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের অনিয়মিত পেনশন নিয়ে ক্ষোভের মাঝেই এবার ফেরত গেল ভাটপাড়া পুরসভার পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৩১ কোটি টাকা। ফলে চরম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল পুর এলাকার নাগরিক পরিষেবা। খারাপ পারফরম্যান্স-সহ ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে না পারার কারণেই এই টাকা ফেরত বলেই খবর।

শুক্রবার পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে এই ইস্যুতে একাধিক চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ক্ষোভ উগড়ে দেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও বৈঠকে বিতর্ক বাধে বহুতলের সমাপ্তি শংসাপত্র (সিসি) দেওয়া নিয়ে। পুর নিয়ম অনুযায়ী প্ল্যান কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত করেই বিল্ডিংয়ের সিসি দেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রের খবর, গত দিনের বোর্ড অফ কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে ৬টি বহুতলকে সিসি দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়। প্ল্যান কমিটিকে এড়িয়ে বোর্ড মিটিংয়ে এই সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে চরম বিরোধীতা করে মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে যান চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (পূর্ত) অরুণ ব্রহ্ম।
পূর্তের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সম্মতি না থাকায় তখন ভাইস চেয়ারম্যান-সহ উপস্থিত সকল চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল এনিয়ে বিরোধিতা করে বৈঠক ছাড়েন। পরে সিসি দেওয়া হবে না শর্তে বাকিরা বৈঠকে যোগ দিলেও অরুণ ব্রহ্ম মিটিংয়ে আসেননি। এরপরই পুর এলাকার দুটি মিলের জমিতে মৌখিক অনুমতিতে প্রায় দু'কোটি টাকা খরচে ফেন্সিং করার অভিযোগে বৈঠকে ব্যপক বিরোধিতা হয়। একইসঙ্গে বৈঠকে উঠে আসে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা ফেরতের প্রসঙ্গ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ জানিয়েছেন, "জানতে পারলাম পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রায় ৩১ কোটি টাকা আমাদের পুরসভা পাবে না। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, আমরা ভীষণ লজ্জিত। তবে বাকি বৈঠক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু বলব না।"