নন্দন দত্ত ও চন্দ্রজিৎ মজুমদার: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার হল কান্দিতে (Kandi) তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত চার। শনিবার রাতে বীরভূমের সাঁইথিয়া থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অভিযুক্তরা বিহারে পালানোর ছক কষেছিল। শেষপর্যন্ত তাদের মোবাইল ট্র্যাক করে হদিশ মেলে। উল্লেখ্য, শুক্রবার কান্দিতে খুন হন তৃণমূল নেতা নেপাল সাহা। সেই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হল। তবে খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
ধৃত চার জন হল তারকনাথ সাহা, বিষ্ণু দোলুই, বরুণ ঘোষ এবং সপ্তম ঘোষ। তারকনাথ মৃত তৃণমূল নেতার খুড়তুতো ভাই। বিষ্ণু, বরুণ এবং সপ্তম-এই তিনজন নেপালের প্রতিবেশী। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, সাঁইথিয়ার অমুয়া গ্রামে এক আত্মীয়র বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে থাকছিল তারা। মোবাইল ট্র্যাক করে তাদের হদিশ পায় মুর্শিদাবাদের পুলিশ। পরে সাঁইথিয়া পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
[আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে TMC কাউন্সিলরকে আত্মহত্যার প্ররোচনা, দেড় বছর পর গ্রেপ্তার আপ্ত সহায়ক]
এদিকে কান্দি থানার আইসি জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। শনিবার সন্ধেবেলা দেখা যায়, তারা তারাপীঠ এলাকায় রয়েছে। পরে সাঁইথিয়া স্টেশন চত্বরে চলে আসে। বিহারে পালানোর ছক ছিল তাদের। তবে তার আগেই ধরা পড়ে গেল। রবিবারই ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাইকে সওয়ার হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন নেপাল সাহা। মাঝপথেই তাঁকে ঘেরাও করে দুষ্কৃতীরা। কিছু বোঝে ওঠার আগেই তাঁকে গুলি করে হামলাকারীরা। সেই আঘাতে মাটিতে ছিটকে পড়লে নেপালবাবুর শরীরে ধারাল অস্ত্রের কোপ বসায় দুষ্কৃতীরা। গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম ও রক্তাক্ত নেপালবাবুকে সঙ্গে সঙ্গে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা করতে ব্যর্থ হন চিকিৎসকরা। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।