জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিরল প্রজাতির একাধিক মৃত কচ্ছপ বস্তাবন্দি অবস্থায় রাখা ছিল বাড়িতে। সেগুলি বাংলাদেশ পাঠানোর আগেই বনগাঁ থানার পুলিশ রুখে দিল সেই চেষ্টা। বমাল গ্রেপ্তার হলেন দুজন। সব থেকে বড় কথা ধৃতদের একজন বনগাঁ পুরসভার অস্থায়ী কর্মী।
বুধবার বেলায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার পুলিশ এই অভিযান চালায়। খয়রামারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় চারটি বস্তা ভর্তি মৃত কচ্ছপের দেহাংশ। ওই দেহাংশের আনুমানিক বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, সুশীল দাস, রাকেশ দাস নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তারা দুজনে সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। সুশীল দাস এর আগেও বেআইনি পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি যে এখনও এই কারবার চালাচ্ছেন, এবারের ঘটনাই তার প্রমাণ।
এবার ছেলেকেও আটক করা হয়েছে। সব থেকে বড় কথা ছেলে রাকেশ বনগাঁ পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। তিনি কত দিন এই কাজের সঙ্গে জড়িয়ে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। জানা গিয়েছে, এদিন উত্তরপ্রদেশ থেকে ওই দেহাংশ বনগাঁর বাড়িরে বস্তাবন্দি অবস্থায় পৌঁছেছিল। আজই সেগুলি সীমান্ত পার করে দেওয়ার কথা ছিল। পুলিশের অনুমান, কেবল উত্তরপ্রদেশ নয়, অন্যান্য রাজ্য থেকেও দেহাংশ এসে থাকতে পারে। এই বিরল প্রজাতির কচ্ছপের দেহাংশ কেজি প্রতি সাত থেকে দশ হাজারে বিক্রি হয়। ওষুধ তৈরি সহ একাধিক প্রয়োজনে বিদেশের বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
ধৃতদের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, অভিযুক্ত সুশীল অতীতে মাছের আড়তে কাজ করতেন| দীর্ঘদিন হল এই তিনি ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। আজই এই দেহাংশ বাড়িতে এসেছিল। পুলিশ দুজনকে জেরা করছে। পুলিশের অনুমান, তাঁদের সঙ্গে আরও একাধিক লোক এই কাজ করেন। বড় চক্র কাজ করছে এখানে। বাংলাদেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি চলছে। তার মধ্যেও এই কচ্ছপের দেহাংশ পাচারের চেষ্টা চলেছিল। সেই বিষয়েও হতবাক ওয়াকিবহাল মহল।