সোমনাথ পাল, বনগাঁ: ময়ূর নয়৷ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে পড়ল ময়ূরের পেখম। পাচারের উদ্দেশ্যেই ওই পেখমগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে খবর। কিন্তু পাচার করার আগেই সেগুলি আটক করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
জানা গিয়েছে, যার কাছ থেকে ময়ূরের পেখমগুলি আটক করা হয়েছে সে কোনও এক আন্তর্জাতিক চোরাকারবারি দলের সঙ্গে যুক্ত। ময়ূয়ের পেখম-সহ যে ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে, তার নাম কাদের আলি| তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, সে বাংলাদেশের যশোর জেলার বেনাপোল সাদীপুর এলাকার বাসিন্দা। রবিবার সন্ধ্যায় হাত ব্যাগে করে ময়ুরের পেখম নিয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছিল সে। তখনই তাকে সীমান্তের কাছ থেকে পাক়ড়াও করে বিএসএফ জওয়ানরা। ধৃতের কাছ থেকে প্রায় ৫০ কিলোগ্রাম ময়ূরের পেখম উদ্ধার করা হয়েছে।
[ পর্যটনের মরশুমে বাতিল দার্জিলিং-কার্শিয়াং রুটের টয়ট্রেন ‘রেড পান্ডা’ ]
সীমান্ত দিয়ে প্রায়ই অস্ত্র ও সোনার মতো বিভিন্ন জিনিস পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাচার হয়ে যায় বাংলাদেশে। ফলে সবসময়ই সচেতন থাকেন বিএসএফ জওয়ানরা। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। গোপন সূত্র মারফত বিএসএফের কাছে এমনই একটি খবর আগেই এসেছিল। ফলে তৈরিই ছিল বিএসএফ। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, পেট্রাপোল সীমান্তের জয়ন্তীপুর ঘাট দিয়ে ওই যুবক পাচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে যাচ্ছিল৷ পেট্রাপোল সীমান্তের পাহারারত কয়েকজন জওয়ান সন্দেহভাজন ওই যুবককে আটক করে৷ তল্লাশি চালাতেই ওই যুবকের ব্যাগ থেকে প্রায় ৫০ কেজি ময়ূরের পেখম পাওয়া যায়।
[ নোটিস দিয়ে গৃহস্থের ঘরে আবির্ভাব ‘অাম্মা ভগবান’-এর, বুজরুকির গন্ধ কাঁকসায় ]
উদ্ধার হওয়া পেখমগুলি পেট্রাপোল শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃতকে সোমবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয়৷ ধৃতকে জেরা করে এই চক্রের বাকি পান্ডাদের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তথ্য পেলেই তাদের খোঁজ শুরু করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
The post বাংলাদেশে পাচারের আগেই সীমান্তে আটক ময়ূরের পেখম appeared first on Sangbad Pratidin.
