সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: হাঁসখালি গণধর্ষণ (Hanskhali Case) করে খুনের ঘটনায় ৯জনকে দোষী সাব্যস্ত করল রানাঘাট এডিজি আদালত। আগামিকাল মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত ৯জনের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবে আদালত। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্ত করছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।আদালত এখন দোষী সাব্যস্ত ৯ জনের বিরুদ্ধে কি সাজা ঘোষণা করে সেদিকে তাকিয়ে এখন নিহত নাবালিকার পরিবার। তবে নাবালিকার পরিবারের দাবি, যেভাবে নৃশংস করে ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তার একমাত্র শাস্তি ফাঁসি। এই মামলায় এখন আদালতের উপরেই নজর প্রত্যেকের।
২০২২ সালে হাঁসখালিতে এক কিশোরীকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, রক্তাক্ত অবস্থাতেই নির্যাতিতাকে ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় কিশোরীর। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটে ঘটনার পর দেহ দাহ করে দেওয়া হয়। কোনও রকম শংসাপত্র ছাড়াই তা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। নৃশংস এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশ। সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টেও। হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সেই মামলাতেই সোমবার অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জনকে দোষী সাবস্ত করল রানাঘাট মহকুমা আদালত। মঙ্গলবার দোষীদের সাজা শোনাবেন বিচারক।
প্রতীকী ছবি
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন সোহেল গয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক। সমস্ত প্রমাণ, সাক্ষ্য খতিয়ে দেখে ধৃত এই তিনজনকে ১২০বি, ৩৪, ২০১, ৫০৬, ৩০৪(২), ৩৭৬ ও পকসো ৬ ধারায় এদিন দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সুরজিৎ রায় ও আকাশ বারুই ১২০বি, ৩৪, ৫৬ ও ১২০ বি ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন তাঁদেরও একাধিক ধারায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
