সৈকত, তমলুক: ১০ নম্বর লেখা শুধু একটা মাথার টুপি আর লং ট্যুরে যাওয়ার জন্য পিঠের একটি লাল ব্যাগ! ব্যাস এইটুকু তথ্যই ছিল। যার ওপর ভিত্তি করেই সুদূর রামেশ্বরম থেকে দীঘায় আশ্রয় নেওয়া ২ জঙ্গির খোঁজে ছুটে এসেছিলেন এনআইএ-এর সেন্ট্রাল আইবির দুঁদে পুলিশ অফিসাররা। সাহায্য চেয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের। সেই সংবাদ পাওয়া মাত্রই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের মূল দুই মাস্টারমাইন্ডকে ধরতে। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গভীর রাতে নিউ দিঘার আয়ুষ ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তুলে দেওয়া হয় এনআইএ-এর ডিআইজির হাতে! এবার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি দমনে সাহসিকতার জন্য দিল্লি থেকে পুরস্কৃত হতে চলেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সেই ৬ জাঁদরেল পুলিশ অফিসার।
জানা গিয়েছে, দক্ষতার সঙ্গে কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের মোকাবিলায় কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পদক পেতে চলেছেন রাজ্যের এই ৬ পুলিশ অফিসার। পুলিশ সূত্রে খবর, পুরস্কার প্রাপকদের এই তালিকায় রয়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল কুমার নস্কর। যিনি বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার ওসি পদে রয়েছেন। তরুণ পুলিশ অফিসার সৌরভ মিত্র। যিনি জেলা সাইবার সেলে বিগত কয়েক বছর ধরেই একাধিক তদন্ত প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন।
একইভাবে ওসি এন্টি ক্রাইম সেলের সব ইন্সপেক্টর দেবনাথ রাজ সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর শান্তনু নন্দন রাউত এবং কিংশুক পাইন পুরস্কৃত হতে চলেছেন। এদের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল অনিমেষ গিরিও 'কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রী দক্ষতা পুরস্কারে' পুরস্কৃত হতে চলেছেন বলে খবর। মূলত ভিন রাজ্যের মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতীদের দ্রুততার সঙ্গে ধরপাকড়ের জন্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে এই সেরা পুরস্কারের মুকুট মাথায় উঠতে চলেছে বাংলার এই সকল পুলিশ অফিসারদের।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "গত ১১- ১২ই এপ্রিল মাঝরাতে এনআইএ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যৌথ অভিযানে দীঘা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের দুই মূল অভিযুক্তকে। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিশেষ অভিযানে অত্যন্ত দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৬ জন পুলিশ আধিকারিক। আমরা এই পুরস্কার ঘোষণায় তাদের নিয়ে গর্বিত।" এই খবরে খুশির হাওয়া পুলিশ মহলে।