সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের মাঝে পড়ে মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে বাবা-ছেলের মৃত্যুতে ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। গত এপ্রিলে জাফরাবাদে বাবা হরগোবিন্দ দাস ও ছেলে চন্দন দাসকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই মামলার বিচার চলছিল। গত সপ্তাহে শুনানি শেষ হওয়ার পর সোমবার ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল জঙ্গিপুর মহকুমা আদালত। মঙ্গলবার তাদের সাজাঘোষণা হবে।
গত এপ্রিলে ওয়াকফ আইন লাগু হওয়ার পর তার বিরোধিতায় পথে নেমে বিক্ষোভে শামিল হন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মতো বঙ্গেও তার সাময়িক আঁচ পড়ে। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, সুন্দরবন এলাকায় অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছিল। তার মাঝে গত ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে এই ওয়াকফ হিংসার প্রতিবাদের সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক না থাকলেও প্রাণ গিয়েছিল স্থানীয় দাস পরিবারের বাবা-ছেলের। অভিযোগ ওঠে, বিক্ষোভের মাঝে পড়ে যাওয়ায় বাবা হরগোবিন্দ দাস ও ছেলে চন্দন দাসকে কুপিয়ে খুন করা হয়। এতে আগুনে নতুন করে ঘি পড়ে।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সিট গড়া হয় জেলা পুলিশের তরফে। একে একে গ্রেপ্তার হতে থাকে অভিযুক্তরা। শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে চলে শুনানি। আর ২২ তারিখ রায় ঘোষণা করলেন বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলেন বিচারক। মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা হবে। দোষীদের তরফে আইনজীবী জানিয়েছেন, সাজা ঘোষণার পর প্রয়োজনে উচ্চতর আদালতের আপিল করতে পারেন। এদিকে, আজ ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কিছুটা আশ্বস্ত দাস পরিবার। দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা চাইছেন তাঁরা। মঙ্গলবারই বোঝা যাবে, তাঁদের দাবি কতটা পূরণ হল।
