রাজা দাস, বালুরঘাট: ঘর থেকে উদ্ধার প্রথম বর্ষের ছাত্রীর দেহ। প্রেমিক বাড়ি থেকে বেরনোর কিছুক্ষণ পরই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট চকভৃগুর চামটা এলাকায় ঘটনায় বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তরুণীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বছর উনিশের মৃত তরুণীর নাম মৌসুমী মোহন্ত। বুধবার দুপুরে বাড়িতে বছর দশের ভাই এবং মৌসুমী একাই ছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাইক নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে পূর্ব পরিচিত চকভৃগুর বাসিন্দা যুবক বিদ্যুৎ মোহন্ত। তিনি মৌসুমীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যান। তার কিছুক্ষণ পরেই মৌসুমীর ঝুলন্ত দেহ ঘরে দেখতে পান তাঁর নাবালক ভাই। এরপর ফের ওই যুবক বাড়িতে আসে। এবং দেহটি নামিয়ে বিছানায় রেখে চলে যায়। ইতিমধ্যে নাবালক ছেলের ফোন পেয়ে বাড়িতে ছুটে আসেন বাবা অসীম মোহন্ত ও তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ মৌসুমির মা।
তাঁরা খবর দেন থানায়। দ্রুত বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরিবারের দাবি, প্রেমিকের প্ররোচনায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মৌসুমী। নিহতের বাবা অসীম মহন্ত বলেন, "মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী বিদ্যুৎ। ছেলের মুখে পুরো ঘটনাটি শুনি। বাড়ি ফিরে মেয়ের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখি। তখন গলায় ফাঁসও ছিল না। বিদ্যুৎই মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল।" বিদ্যুতের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের বাবা। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় বালুরঘাট থানায় বিদ্যুৎ মোহন্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৌসুমীর বাবা অসীম মোহন্ত। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পরেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত।