বাবুল হক, মালদহ: সীমান্ত এলাকায় ফের বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার হল মালদহে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই জালনোট কারবারি। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচকে। গত ১০ দিনে জেলায় মোট ২৬ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ওই জালনোট মালদহে ঢুকেছিল বলে প্রাথমিক খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হরিবোনা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছিল। ওই এলাকা দিয়ে জাল নোট পাচার হবে, গোপন সূত্রে এই খবর এসেছিল। কালিয়াচক থানার পুলিশ অভিযান চালায়। এক বাইক আরোহী এবং এক টোটোর যাত্রীকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ, জিনিসপত্র তল্লাশি করা হয়। বেরিয়ে পড়ে জাল নোট। দ্রুত তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মোট সাড়ে ১২ লক্ষ টাকার জাল নোট পাচার করা হচ্ছিল। সবগুলিই পাঁচশো টাকার নোট। কোথায় থেকে ওই জাল নোট আনা হচ্ছিল? কোথায় পাচার করার কথা ছিল? ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই কথা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধৃত দু'জনের নাম সেরাজুল শেখ এবং নিটু শেখ, বাড়ি কালিয়াচকের গোপালগঞ্জ এলাকায়। অভিযোগ, সীমান্ত পেরিয়ে ওই জাল নোট ভারতে আনা হয়েছিল। বিনিময়ে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে নিষিদ্ধ মাদক ব্রাউন সুগার, ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট!
মালদহের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পাচারের উদ্দেশ্যেই জাল নোটগুলি ওই এলাকায় আনা হয়। সেগুলি অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় ওই পাচারকারী। দুই ক্ষেত্রেই জাল নোটগুলি কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল, চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে মালদহের ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে এভাবে জালনোট ঢোকার ঘটনা উদ্বেগজনক, এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সীমান্ত পেরিয়ে কীভাবে জাল নোট ঢুকছে? সীমান্তে নজরদারি কতটা আঁটসাঁট? সেই প্রশ্নও উঠেছে। আরও বেশি করে এই বিষয়ে অভিযান, নজরদারি হবে। সেই বিষয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
