সুবীর দাস, কল্যাণী: বোর্ড মিটিং ছাড়াই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুরপ্রধান! ২০২৩ -২৪ ও ২০২৪-২৫ বর্ষের কোনও অডিট না করেই বা হিসাব না দিয়ে ইচ্ছামতো পুরসভার অর্থ ব্যয় করছেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এবার পুরবোর্ডকে শোকজ চিঠি দিল পুর উন্নয়ন নিগম। আগামী সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।
গয়েশপুর পুরসভার পুরপ্রধান সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। পূর্বে একাধিকবার সোচ্চার হয়েছিলেন তৃণমূল পরিচালিত বিরোধীশূন্য গয়েশপুর তৃণমূলের ১৮ জন কাউন্সিলর মধ্যে ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। বাংরবার সেই অভিযোগ ওঠার পর আজ, মঙ্গলবার পুরবোর্ডকে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পুরপ্রধানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে গয়েশপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা গয়েশপুর পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রাক্তন পুরপ্রধান মরন দে-সহ অন্যান্য কাউন্সিলররা।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সোমা দাস সরকার, "স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছি না। কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকায় উন্নয়ন থমকে রয়েছে। বর্তমান পুরপ্রধান সরলে এলাকায় ভালো কাজ হবে।" স্বপ্না অধিকারী কাউন্সিলর বলেন, " পুরপ্রধান আমার ওয়ার্ডে কমিটি করতে দেয়নি। কোনও কাজ করতে দেয়নি। আমি পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলাম। উনি প্রচুর দুর্নীতি করছেন। শোকজ নোটিস এসেছে। দল যা সিদ্ধান্ত তা মেনে নেব।" যদিও এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি গয়েশপুর পুরোসভার পুরো প্রধান সুকান্ত চ্যাটার্জি।
