নিরুফা খাতুন: আপাতত জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনাই নেই। উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে। তার জেরে বঙ্গে শীত ধাক্কা খাচ্ছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হলেও বাড়বে বলে প্রাথমিকভাবে খবর। সামনেই বড়দিন। সেসময়ও কি বঙ্গে শীত এমনভাবে খুঁড়িয়ে চলবে? সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এ যেন এসেও শীত আসছে না। কলকাতায় তাপমাত্রার পারদ দিন কয়েক হল নামতে শুরু করেছে। আশায় বুক বেঁধেছিলেন সাধারণ মানুষজন। কিন্তু সেই আশায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রার পারদ নামার কোনও সম্ভাবনাই নেই। বরং চলতি সপ্তাহে সামান্য হলেও বাড়বে তাপমাত্রা। কলকাতায় দিনের তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের নীচে আর রাতে স্বাভাবিকের ওপরে থাকবে। আজ, বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৮ ডিগ্রি। গতকাল, মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪৭ থেকে ৯২ শতাংশ।
পশ্চিমের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রার পতন থমকে গিয়েছে। এদিন পশ্চিমের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। উপকূলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কিছুট হলেও বেশি রয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলাগুলিতে শীতের আমেজ থাকবে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। পার্বত্য এলাকায় তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। মধ্যরাত ও ভোরের দিকে কুয়াশার প্রভাবও থাকবে। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।
কিন্তু ডিসেম্বরের শেষেও কেন এমন অবস্থা শীতের? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পাকিস্তান সংলগ্ন জম্মু-কাশ্মীরে। আসাম ও সংলগ্ন এলাকাতেও ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। আহ, বুধবার নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। ফলে আবহাওয়ার কতটা বদল হবে? বড়দিনেও কি তাপমাত্রার পারদ বাড়বে? সেই প্রশ্ন থাকছে।
