শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: হেমতাবাদে পার্সেল (Parcel) বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিআইডি আধিকারিকরা। এলাকা ঘুরে দেখেন উত্তরবঙ্গের আইজিও। রবিবার ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা। তবে বিস্ফোরণের পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও অধরা দুষ্কৃতী।
উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে বাহারাইল হাইস্কুলের পাশে ওষুধের দোকানেই শুক্রবার পার্সেলটি আসে। বিকিকিনির মাঝে একটি টোটো ওষুধের দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। তাতে কোনও যাত্রী ছিলেন না। টোটোচালক ওষুধের দোকানের মালিক বাবলু রহমান চৌধুরীর হাতে একটি পার্সেল তুলে দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দোকান ছেড়ে টোটো নিয়ে এলাকা ছাড়েন। তারপরই পার্সেলটি খোলেন ওষুধের দোকানের মালিকের ভাইপো। পার্সেল খোলার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়। প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে চতুর্দিক। গুরুতর জখম হন ওই যুবক। তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা ওষুধের দোকানের মালিক এবং বিস্ফোরণের সময় দোকানে থাকা এক ক্রেতাও জখম হন। তাঁরা রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি।
[আরও পড়ুন: IPL 2022: বিদেশে নয়, চলতি বছর শর্তসাপেক্ষে আইপিএল হবে দেশের মাটিতেই!]
এই ঘটনার পরই হেমতাবাদ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। শনিবার ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। উত্তরবঙ্গের আইজি এবং সিআইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আপাতত ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। রবিবার ফরেনসিক টিমের নমুনা সংগ্রহ করার কথা। পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই বিস্ফোরণ সংক্রান্ত আরও নানা তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। হেমতাবাদ থানায় এদিন একটি বৈঠকও করেন তদন্তকারীরা।
এদিকে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে ওই টোটোচালকের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। কে-ই বা পার্সেলটি পাঠাল আর তার উদ্দেশ্যই বা কী ছিল, সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এদিন ১২ ঘণ্টা হেমতাবাদে ধর্মঘটেরও ডাক দেন তাঁরা।