শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: মদের আসরে যুবকের যৌনাঙ্গে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের তাহেরপুর। অভিযোগ, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবকের নাম কার্তিক বর্মণ। মদ খাওয়ার নামে তাঁকে ডেকে নিয়ে যায় চার যুবক। সেখানেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবকের যৌনাঙ্গ কেটে দেয় পড়শি চারযুবক। মঙ্গলবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের অদূরে তাহেরপুর গ্রামে। রক্তাক্ত যুববকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হয়। পরবর্তিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন যুবক। এদিন মাটির বাড়ির দাওয়ায় কাঁদতে কাঁদতে আক্রান্ত যুবক বলেন, “স্বাধীনতা দিবসের সন্ধেয় পাড়ার একটি ভাটিতে নিজের পয়সায় মদ খেয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। তারপর পাড়ার কয়েকজন আবার মদ খাওয়ার নাম করে নিয়ে যায়। আর সেখানে জোর করে মদ খাওয়ায়। একটু নেশা হয়ে যায়। তখনই গল্প করতে করতে চাকু দিয়ে আমার পুরুষাঙ্গ কাটতে থাকে জয়ন্ত ঝাঁ-সহ গ্রামের চারজন। কিন্তু আমার সঙ্গে ওদের কোনও শত্রুতা নেই।”
[আরও পড়ুন: স্বপ্নপূরণ! NEET-তে সাফল্য চা বাগানের পড়ুয়াদের, ‘পঞ্চরত্ন’কে সংবর্ধনা দিল জেলা প্রশাসন]
যুবকের দিদি বলেন, “ভাই দিনমজুর। কোনওরকমের সংসার চালায়। কিন্তু জোর করে ছুরি দিয়ে ভাইয়ের যৌনাঙ্গ কেটে দিল গ্রামের চার যুবক। অভিযুক্ত যুবকরা গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। ভাই কোনওদিন কোনও খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়নি। তারপরও অপরাধীদের কোনও শাস্তি হচ্ছে না।” এই ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভুমিকায় রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে স্থানীয় বাসিন্দা রতন বর্মন বলেন, “কোনও মহিলার সঙ্গে এইরকম পৈশাচিক ঘটনা ঘটলে সব রাজনৈতিক দল ছুটে আসতেন। অথচ স্থানীয় দুষ্কৃতীদের হাতে একজন গরিব নিরীহ যুবক মৃত্যুর মুখে, অপরাধীরা দিব্যি গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।” এ বিষয়ে বড়ুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের ভবানন্দ রায় বলেন, “এইরকম ঘটনা আমার জানা নেই।” তবে রায়গঞ্জের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, “পুলিশকে বলেছি মদের ভাটিখানাগুলোতে রেড করতে।” অভিযুক্তদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ বিষয় রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সানা আকতার বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় তল্লাশি চলছে।”