গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: চলতি বছরের ১৪ই জুলাই চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল ইসরোর চন্দ্রযান।দীর্ঘ ৩৯ দিন পার করে অবশেষে চাঁদের মাটিতে পা রাখল চন্দ্রযান-৩। উৎক্ষেপণের পর থেকে চাঁদের মাটি স্পর্শ করার মুহূর্তের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল দেশবাসী। বিশেষ করে সেই সমস্ত বিজ্ঞানীরা যারা এই মিশনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত। সেরকমই ইসরোর এক বিজ্ঞানী হলেন বসিরহাটের মানস সরকার। যিনি চন্দ্রযান-৩ মিশনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
বসিরহাট পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নৈহাটি এলাকার বাসিন্দা মানস সরকার। বিজ্ঞানীর বাবা প্রাক্তন সেনা কর্মী শচীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “অধীর আগ্রহে বসে ছিলাম চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং দেখার জন্য। গর্ব হচ্ছে নিজের ছেলের জন্য। যে এই মিশনের সঙ্গে যুক্ত। চন্দ্রযান সফল হলে তা বসিরহাট-সহ ভারতের নাম উজ্জ্বল করবে।” এলাকাবাসী সুরেশ মণ্ডল বলেন, “বসিরহাটের এই বিজ্ঞানীর কৃতিত্ব যথেষ্টই প্রশংসনীয়। আগামী প্রজন্মকে বিজ্ঞানমুখী করতে তার এই কৃতিত্ব যথেষ্টই অনুপ্রেরণাদায়ক।” অন্যদিকে বসিরহাটের এই বিজ্ঞানীকে সম্মান জানাতে পাশাপাশি চন্দ্রযান -৩ যাতে চাঁদের মাটিতে সফলভাবে ল্যান্ড করে তার জন্য দুর্গাপুজোয় নিজেদের থিম চন্দ্রযানকে বেছে নিয়ে খুঁটিপুজোয় মেতে উঠল বসিরহাটে নেতাজি ইউনিয়ন।
[আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে বেআইনি গর্ভপাত? নদীর ধার থেকে ভ্রূণ উদ্ধারে বিতর্কে বালুরঘাটের হাসপাতাল]
উদ্যোক্তা শংকর অধিকারী বলেন, “আমাদের গর্ব মানস সরকার। চন্দ্রযানের সঙ্গে যিনি সরাসরি যুক্ত। তিনি বসিরহাটের নাম দেশের মধ্যে উজ্জ্বল করেছেন। তাই তাকে সম্মান জানাতে পাশাপাশি চন্দ্রযান-৩ এর ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে আজকের দিনেই আমরা খুঁটি পুজায় নিয়োজিত হয়েছি।”
