অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানাতে গেলে প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিযার্তিতাকে গণধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলর ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় খড়গপুর (Kharagpur) এলাকা। এ বিষয়ে এখনও অভিযুক্ত কাউন্সিলরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
জানা গিয়েছে, খড়গপুরের বড়আয়মা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী। দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন তিনি। অভিযোগ, কিছুদিন আগে শৈলেশ কুমার নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। ওই যুবক প্রেমের প্রস্তাব দেন তরুণীকে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করে। নির্যাতিতার দাবি, তাকে লাগাতার ধর্ষণ করে শৈলেশ। শেষে বিয়ের কথা বলতেই সে বেঁকে বসে। এরপরই আইন-আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রথমে প্রেমিকের বিরুদ্ধে নালিশ করতেই খড়গপুরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুকেশ হুমনের কাছে যান নির্যাতিতা।
[আরও পড়ুন: পরিকাঠামো নিয়ে সমস্যা, এবছরও শান্তিনিকেতনে হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা]
অভিযোগ, এরপর একদিন কাউন্সিলর মহিলাকে ফের ডেকে পাঠান। সেখানে নাকি প্রেমিক শৈলেশ, কাউন্সিলর মুকেশ ও আরও ২ জন ধর্ষণ করে অভিযোগকারীকে। এরপর তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়া হয় যে, কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলা হবে তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মহিলা। তা সত্ত্বেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেপ্তার করা হয় প্রেমিক শৈলেশকে। একমাসের মধ্যে ধৃতকে জামিনে ছাড়িয়ে নেন কাউন্সিলর। তারপরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়গপুর এলাকায়। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ। তবে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের আদৌ ভিত্তি রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত কাউন্সিলর বিজেপির হয়ে লড়াই করে জিতেছিলেন। গত জুন মাসে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে।