অর্ণব দাস, বারাকপুর: গুলি, বোমার ঘায়ে নৈহাটিতে খুন তৃণমূল কর্মী। শনিবার সন্ধেয় জখম হন তিনি। কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। রবিবার সকালে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মীর। এই ঘটনার পর থেকে উত্তপ্ত শিবদাসপুর থানার কন্দপুকুর। পলাতক অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। অভিযুক্তদের খোঁজে জারি জোর পুলিশি তল্লাশি।
নিহত মহম্মদ জাকির, সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবেই পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধেয় দু’টি বাইকে কয়েকজন দুষ্কৃতী নৈহাটির শিবদাসপুর থানার কন্দপুকুর এলাকায় আসে। জাকিরকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। একটি গুলি তাঁর পেটে লাগে। এরপর দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েকটি বোমা ছোঁড়ে। মহম্মদ জাকির ছাড়া আরও একজন জখম হন। তাঁদের কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রোপচার হয় জাকিরের। রবিবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর।
[আরও পড়ুন: ‘সামনে পঞ্চায়েত, কাজ করতে হবে’, এজলাসে বসেই অনুগামীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ অনুব্রতর]
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই লেগেছে রাজনীতির রং। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার টুইটে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি লেখেন, “নৈহাটির কাছে শিবদাসপুরে গুলি, বোমা। এর আগেও বারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত কাঁকিনাড়াতে নাবালকের মৃত্যু। বারাকপুর কমিশনারেট কি হেমন্তকালেই শীতঘুমে ব্যস্ত? পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কি বলছেন মাননীয়া পুলিশ মন্ত্রী শুনে নিন।” এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক কারণ নাকি গুলি-বোমা চলার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।