কল্যাণ চন্দ ও ধীমান রায়: বহরমপুরে (Berhampore) মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কার জেরে মৃত্যু তিনজনের। ইতিমধ্যেই দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার খিদিরপুর কলোনির বাসিন্দা সোমনাথ বিশ্বাস, গদাই বিশ্বাস এবং সৌভিক বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার রাতে বাইকে হরিহরপাড়া অর্থাৎ বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। মাঝপথে দুর্ঘটনা। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা দেয় বাইকটি। রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিন যুবক। শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে দিয়ে দেখেন রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে তিনজন। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
[আরও পড়ুন: ‘ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন’, নন্দীগ্রামে ‘জয়’ নিয়ে গর্বিত শুভেন্দুকে পালটা কুণালের]
দ্রুতই আহতদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এদিকে শুক্রবার সকালে বর্ধমানের ভূমিশোর ও পাটনা গ্রামের মাঝে ঘটেছে দুর্ঘটনা। এদিন বর্ধমান-শ্যামবাজার রুটের বাস বর্ধমান-কাটোয়া রোড ধরে শ্যামবাজার যাচ্ছিল। ভূমিশোর ও পাটনা গ্রামের মাঝে আচমকা সামনের চাকা ফেটে উলটে যায় বাসটি। জখম হন কমপক্ষে ১০ জন। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কীভাবে দুর্ঘটনা? বাসযাত্রীদের একাংশের দাবি, গতি বেশি থাকার কারণেই এই কাণ্ড।
প্রসঙ্গত, গত কিছুদিনে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানে। শুক্রবার যেখানে বাস উলটে গিয়েছে, ঠিক সেই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছিল দশদিন আগে। ফলত প্রশ্ন থাকছেই যে, একই জায়গায় বারবার দুর্ঘটনা কেন? পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে অতি শীঘ্রই।