সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে প্রথম দফার ভোট আসতে আর বাকি মেরেকেটে হপ্তাখানেক। অথচ, ভোট চিত্রে সেভাবে দেখাই মিলছে না আসাদউদ্দিন ওয়েইসির AIMIM-এর। একটা সময় যে আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে বাংলার নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করা হচ্ছিল, সেই ওয়েইসি নির্বাচনী আবহে রাজ্যে পা পর্যন্ত রাখেননি। যার ফলস্বরূপ রীতিমতো দৈন্যদশায় কাটাতে হচ্ছে তাঁর দলকে। মিমের রাজ্য নেতাদের অনেকেই দল ছেড়ছেন। যারা আছেন, তাঁরাও জানেন না আদৌ মিম এবারের ভোটে লড়বে কিনা। আর লড়লে কোন জেলায় কোন আসনে লড়বে।
আসলে, আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোট ভাঙার পরই বাংলার ভোটচিত্র থেকে হারিয়ে গিয়েছে মিম। শেষ রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে কিছুদিন আগে কলকাতার মেটিয়াবুরুজে জনসভা করার কথা ছিল ওয়েইসির। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় সেই সভা হয়নি। তারপর থেকে কার্যত বেপাত্তা হায়দরাবাদের সাংসদ। যার ফলে অথৈ জলে মিম। ওয়েইসি (Assaduddin Owaisi) নিজে তো যোগাযোগ করেনইনি, দলের শীর্ষ কোনও নেতাও বাংলার নেতাদের কোনওরকম নির্দেশনামা দেননি। আগে ঠিক ছিল, আর কোথাও হোক না হোক, মুর্শিদাবাদের অন্তত ১৩টি আসনে লড়বে মিম। কিন্তু সেটাও এখনও চূড়ান্ত নয়।
[আরও পড়ুন: সম্পত্তির নিরিখে অন্য সব দলের থেকে বহু এগিয়ে বিজেপি! তুলনায় অনেক ‘গরিব’ তৃণমূল]
কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর বিরক্ত হয়ে ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন মিমের একসময়ের রাজ্যের প্রধান সংগঠক জামিরুল হাসান (Zameerul Hassan)। নতুন দলে যোগ দিয়ে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করার পরিকল্পনা করেছেন হাসান। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগ (Indian National League) নামের ওই দলটি অবশ্য আলাদা ভাবে ভোটে লড়া নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছে। জামিরুলের দাবি,”২০১৫ সাল থেকে আমি সংগঠন করে আসছি মিমের। ২০টি জেলায় শক্তিশালী ছিল আমাদের সংগঠন। কিন্তু আব্বাসের সঙ্গে জোট করে ওয়েইসি আসলে বিজেপিকে সাহায্য করতে চাইছেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেন না। হায়দরাবাদ থেকেই সব ঠিক করে দেন। এভাবে কাজ করা যায় না।”