সুমন করাতি, চুঁচুড়া: সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি। প্রাথমিক ভাবে তা মিটেও যায়। পরে সেই আক্রোশ থেকেই মাথায় বাঁশের আঘাত। তার ফলে আজ, শনিবার মৃত্যু হয়েছে আহত ব্যক্তির। অভিযুক্তকে ধরার দাবিতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশের সঙ্গে বাঁধে ধস্তাধস্তি। নামে র্যাফ। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
গত সোমবার চুঁচুড়া (Chinsurah) বিধানসভার হোসেনগুলির নিবাসী অমল খান তাঁর ছেলেকে নিয়ে চুঁচুড়ার মোগলটুলিতে যান। সেখানে মজিদ নামের স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। সেখান উপস্থিত স্থানীয়রা সেই ঝামেলা মিটিয়েও দেন। তার পরেই আচমকা বাঁশ দিয়ে অমলের উপর হামলা চালায় মজিদ। গুরুতর আহত হন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে (Chinsurah Imambara Hospital) ভর্তি করা হয় তাঁকে। আজ মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত। আজ বিক্ষোভের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
[আরও পড়ুন : লোকসভা নির্বাচনের মুখে জীবনতলায় উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, অশান্তির ছক?]
অমল খানের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরিবারের লোক ও স্থানীয়রা অভিযুক্ত মজিদের বাড়ি ভাঙচুর চালানোর পর ইমামবাড়া সদর হাসপাতাল (Chinsurah Police Station) রোড অবরোধ করেন। খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার আইসি রামেশ্বর ওঝার নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ বাহিনী। অবরোধ তুলতে গেলে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এর পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।
[আরও পড়ুন : রাজ্যে ‘জল জীবন প্রকল্পে’ প্রথম নদিয়া, দ্রুত ১০০ শতাংশ কাজ শেষের আশ্বাস প্রশাসনের]
পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাঁকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি বলেন, “ছোট একটা ব্যাপার বড় আকার ধারণ করেছে। এই ঘটনা দুঃখের ও লজ্জার। আমরা পরিবারের পাশে আছি। মৃতদেহ সৎকার করার জন্য পরিবারকে অনুরোধ করেছি।”